অরুপপুর গ্রামে বাস করত রহিম মিয়া। শহরে তার দোকান। প্রতিদিন সকালে তিন মাইল হেঁটে গাড়িতে ওঠে শহরে যায়। আবার রাতে গাড়ি থেকে নেমে তিন মাইল হেঁটে বাড়ি যায়। একদিন গাড়ি থেকে নামতেই এক ভুত এসে বললো,
: এঁই তুঁই যেঁ মাংস নিঁয়ে যাঁচ্ছিস আঁমাকে দেঁ নঁইলে তোঁকে মেঁরে ফেঁলবো।
: ঠিক আছে। চল একটু সামনে যাই।
একটু একটু সামনে বলতেই অরুপপুর গ্রামে চলে এলো।
এসে রহিম মিয়া বললো,
: ও দেশী ভূত তুমি থাকতে বিদেশী ভূতে আমার মাংস খেয়ে ফেলতে চায়। মাংস খেলে তুমি খাবে।
এই কথা বলতেই একটি ভূত ছুটে এলো। এসে বললো,
: তোর এতো বড় সাহস আমার খাবার তুই খেতে চাস।
এক সময় দুই ভূতে মারামারি শুরু করলো। এ সুযোগে রহিম মিয়া বাড়ি চলে এলো। মাংস রান্না শেষে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সকালে তিনি হাঁটতে হাঁটতে গেলেন যেখানে ভূতের লড়াই হয়েছিল সেখানে। ভূতের অবস্থা দেখতে। ভূতের কোন সন্ধান পেলোনা। দেখতে পেলো দুটি কাক মরে পড়ে আছে। রহিম মিয়া বুঝতে পারল এই কাক দুটি গত রাতের ভূত। রহিম মিয়া গ্রাম বাসিকে গত রাতের ঘটনা বললো।