সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছেলের বিয়েতে রাজী না হওয়ায় কৃষক স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজার সংলগ্ন রঘুনাথপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কৃষক ফারুক হোসেনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুত আহত কৃষক ফারুক হোসেন (৪৫) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজার সংলগ্ন রঘুনাথপুর গ্রামের ফয়জুদ্দিন সরদারের ছেলে।
পুুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুরের কৃষক ফারুক হোসেন তার ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। এনিয়ে তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলছিল। এরই একপর্যায় বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ছেলে বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায় মাহমুদা খাতুন ধারালো দা দিয়ে তার স্বামী ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার পর পরই ফারুকের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা মারাত্মক জখম অবস্থায় ফারুক হোসেনকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করে। আহত ফারুকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাহমুদা খাতুন তার ছেলেকে তার(মাহমুদা) ভাইয়ের মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু ফারুক হোসেন ওই বিয়েতে রাজী ছিল না। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায় মাহমুদা দা দিয়ে তার স্বামীকে কোপ দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোন অভিযোগ দয়েনি। তবে পুলিশ মাহমুদাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। ফারুকের স্ত্রী মাহমুদা ৬ বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল