সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ দুজন। সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) তারা এ সাক্ষ্য দেন। এনিয়ে ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষীর সংখ্যা দাড়ালো ৭জনে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ১৬ জানুয়ারী সোমবার ও ১০ জানুয়ারি যথাক্রমে ৪ ও ১ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার আদালতে যারা সাফাই সাক্ষী দেন তারা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ,সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা,ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান ও আসামী গোলাম রসুলের পক্ষে কলারোয়ার মোবারক আলী।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আসামী পক্ষে আমানউল্লাহ আমানসহ দু’জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। এ মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আসামীপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালতের কাঠগোড়ায় কারাগার থেকে আনা ৩৯ জন আসামী হাজির ছিলেন। নয় জন্য পলাতক রয়েছেন। ইতিমধ্যে দুইজন কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু,শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছরের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দু’টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।