সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রার্থনা ও কেক কাটা, অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জা ও উপাসনালয়ে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিন উৎসব।
কলারোয়া উপজেলার কয়লার খ্রীষ্টান পাড়ায় প্রশান্ত মন্ডল পরিবারের সাধু পিতরের গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয় ক্যাথেলিক প্রাঙ্গণ। বিশেষ প্রার্থনা শেষে কেক কাটা হয়। এর পরপরই শিশু ও কিশোররা বাজি পুড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। এতে যোগ দেন স্থানীয় খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। উপস্থিত খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড় দিন দিনের মাহাত্ম্য তুলে ধরে বলেন, যীশু শুধু খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য নয়, তিনি সকল ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
সন্ধ্যায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বড় দিন উপলক্ষে কলারোয়ার ২৪টি গির্জা ও ক্যাথেলিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন কলারোয়া থানা পুলিশ। কয়লার বড়দিন উৎযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-খুলনার ধর্ম যাজক ফাদার ওয়াং, কলারোয়া উপজেলা খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মি.প্রশান্ত মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক সিবাস্টিন মন্ডল, কয়লার খ্রীষ্টান পাড়ায় প্রশান্ত মন্ডল পরিবারের সদস্য শিমন মন্ডল, শিলা মন্ডল, শিপ্রা মন্ডল, ছন্দা মন্ডল, বৃষ্টি মন্ডল, সেতু মন্ডল, ঝিলিক মন্ডল, স্নেহা মন্ডল প্রমুখ।
এদিকে কলারোয়া উপজেলা খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মি.প্রশান্ত মন্ডল জানান-প্রতিটি গীর্জাকেই এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। চার্চগুলোতে প্রার্থনার পাশাপাশি বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো বড়দিনের ক্রিসমাস ট্রি ও ফুলে ফুলে ঢেকে দেয়া হয় স্বজনদের সমাধি। সেখানে প্রদীপ ও আগরবাতি জ্বালিয়ে প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেছেন তারা। গির্জার ধর্মযাজক ফাদারের সাথে দিনের শেষ প্রার্থনায় পুণ্যার্থী অংশ নেন। সেখানে মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি এবং জগতের সব মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ ভোজে লিপ্ত থাকা, শুভেচ্ছা বিনিময়, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে উপহার বিনিময়সহ নানা কর্মের মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। এ ছাড়া কলারোয়া উপজেলার ২৪টি স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বড়দিন পালিত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস