সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যৌতুকের জন্য এক গৃহবধুকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামাদারকাটি গ্রামে এঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর থেকে স্বামী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
গৃহবধু মর্জিনার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবনগরের কৃষক আহমদ আলী সরদার জানান, তার মেয়ে মর্জিনার সাথে চার বছর আগে কলারোয়ার দামাদারকাটি গ্রামের নেদু সরকারের ছেলে আশরাফুল সরকারের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালাতো তার স্বামী আশরাফুল। দুই বছর আগে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয় মর্জিনা। মেয়ে জন্ম দেয়ার পর তার উপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে মর্জিনাকে হত্যা করে মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে আশরাফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মর্জিনা হত্যার পর থেকে স্বামী আশরাফুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তার সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করে বারবারই ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত আশরাফুলের পিতা নেদু সরকার জানান, তার ছেলে একটু অবুঝ টাইপের পাগলামীও আছে। স্বামী স্ত্রী গন্ডগোল হওয়ার কারনে মর্জিনা বাড়ি যেতে চাচ্ছিলো তাতে বাঁধ সাধলে তার ছেলে বৌ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তার ছেলে কোথায় আছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
এদিকে মর্জিনার বাবার বাড়ির পরিবার মর্জিনা হত্যার বিচার দাবি করে দ্রæত আশরাফুলকে আইনের আওতায় আনার জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, মঙ্গলবার রাতে আশরাফুল সরকারের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন নির্যাতন ও বিষপানে মৃত্যুর খবরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গৃহবধূর স্বামীকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মর্জিনার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই