কলারোয়ায় ঢাকা নবাব বিরিয়ানি খেয়ে আড়াইশ’র অধিক মানুষ অসুস্থ হয়েছে। অসুস্থদের কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া অসুস্থ্ রোগীরা স্থানীয় ক্লিনিকেও ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়ার জালালবাদ ইউনিয়নের সিংলাল বাজারের ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দীনের দোকানে শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১০টার দিকে ঢাকার মাছের খাদ্য আগাতা ফিড এর বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে বেলা দেড়টার দিকে কলারোয়া বাজার থেকে আনা ঢাকা নবাব বিরিয়ানি ১২০ জন মাছ চাষীকে দেয়া হয়। পরে চাষীরা ওই বিরিয়ানি বাড়িতে নিয়ে পরিবারের সকলে মিলে খায়। সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে প্রত্যেকের শুরু হয় বমি ও পাতলা পায়খানা আর চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এ নিয়ে সিংহলাল গ্রামের প্রায় আড়াইশ’র বেশি নারী, পুরুষ ও শিশু ফুড পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে ওষুধ, স্যালাইন, বেড খালি না থাকায় তারা পড়ে বিপাকে।
এ বিষয়ে কলারোয়া হপাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় ডায়রিয়ার স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। একই সাথে হাসপাতালে বেড খালি নেই। প্রায় ৪০ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউজ এর প্রো রবিউল ইসলামকে আটক করে। পরবর্তীতে অসুস্থ রোগীদের অবস্থা দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম