খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

কলকাতার মেয়র পদে ফিরহাদের শপথ সোমবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রয়োজনে রাজ্যের মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও রাজি ছিলেন। চেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ভোটে দাঁড়াবেন। মুখে সে ভাবে বলেননি, কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠেরা বিলক্ষণ জানেন, ফিরহাদ (ববি) হাকিম চেয়েছিলেন দরকারে মন্ত্রিপদ বিসর্জন দিয়েও কলকাতার মেয়র পদে ফিরে আসতে। কিন্তু তাঁরা যেটা এখনও বুঝতে পারছেন না, মেয়র হওয়ার পরেও কি ববি মন্ত্রীও থাকবেন? সরকারি সূত্রের একাংশের কথা মেনে নিতে গেলে, থাকবেন। কিন্তু অন্য অংশ বলছে, না-আঁচালে বিশ্বাস নেই। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হতে পারে। তবে দলীয় সূত্রের দাবি, মেয়রের পাশাপাশি ববি মন্ত্রীও থাকবেন। কারণ, তিনি মুখ্যমন্ত্রী ‘আস্থাভাজন’।

কলকাতার মেয়র যে ববি হচ্ছেন, তা পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিনই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের জয়ের খবর আসার অব্যবহিত পরেই বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ। সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়। বাকি ছিল ঔপচারিকতাটুকু। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহারাষ্ট্র নিবাসে সেটাই ঘটল। দলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মেয়র পদে প্রত্যাবর্তন ঘটল ববির। আগামী সোমবার তিনি মেয়র পদে শপথ নেবেন।

মেয়র পদের দৌড়ে ববি যে এগিয়ে ছিলেন, তা তৃণমূলের অন্দরে তো বটেই, শহরের মানুষও জানতেন। ফলে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মেয়র পদে ববির নাম প্রস্তাব করার পর মহারাষ্ট্র নিবাসের বৈঠকে মমতা যখন প্রশ্ন করলেন, ‘‘কারও কোনও আপত্তি আছে?’’ তখন কোনও আপত্তি এল না। উল্টে সুব্রত বললেন, ‘‘আপনি বলে দিলে কে আর আপত্তি করবে!’’

যা থেকে স্পষ্ট যে, দলের অন্দরে মমতাই এখনও শেষ কথা। বস্তুত, সেটা বোঝা গিয়েছিল পুরভোটে দলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণার সময়েই। দলের অন্দরে প্রার্থী নির্বাচনের সময় ঠিক হয়েছিল ববি-সহ কলকাতার ছ’জন বিধায়ককে আর টিকিট দেওয়া হবে না। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ববিরা যে টিকিট পাবেন না, তা-ও মোটামুটি পাকা হয়ে গিয়েছিল। শেষমুহূর্তে হস্তক্ষেপ করেন মমতা স্বয়ং। তাঁরই হস্তক্ষেপে টিকিট পান ববি-সহ বাকি বিধায়কেরা। তাঁরা সকলেই জিতেছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!