কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মীযান পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পালিত হল। এই মীযান পত্রিকা ৫০ বছর অতিক্রম করে ৫১ বছরে পদার্পণ করেছে। সেই উপলক্ষে কলকাতার পার্কসার্কাস এলাকার বীরেশ গুহ রোডের ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অডিটোরিয়ামে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান পালিত হল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষামন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান তথা পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। অন্যান্য সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অল ইন্ডিয়া মুলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য ও মীযান পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক ডা. রইসুদ্দিন, প্রাক্তন সম্পাদক ও বিআইপিটি-র বর্তমান সেক্রেটারি রহমত আলি খান, প্রাক্তন সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুদ্দিন, বর্তমান সম্পাদক তথা জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি ডা. মসিহুর রহমান, জামাআতের সর্বভারতীয় সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রফিক, মীযান পত্রিকার প্রকাশক সেখ নাসিম আলী প্রমুখ। প্রোগ্রাম শুরু হয় মাওলানা এএফএম খালিদ সাহেবের তাযকির বিল কুরআনের মাধ্যমে।
প্রারম্ভিক ভাষণে মীযান এর সম্পাদক ডা. মসিহুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার আগে-পরে অনেক পত্র-পত্রিকা তৈরি হয়েছে। অনেকে খুব ভালভাবে সময়োপযোগী কাজও করেছে। আবার অনেক পত্র-পত্রিকা কালের স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। মীযান কিন্তু ৫০ বছর অতিক্রম করে আল্লাহর রহমতে ইসলাম ও মুসলিম মিল্লাতের খিদমতে অব্যাহত রয়েছে। ইসলাম ও মিল্লাতের স্বার্থে সচেতনতা, সঠিক দিশা ও দৃষ্টিকোণ, পথ নির্দেশনা দিতেই মীযান এর পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আজও এই পত্রিকা সাধ্যমতো ইসলামী চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধের ছাপ রেখে চলেছে। বৈচিত্রময় এই দেশে আমাদের দায়িত্ব হল জাতি গঠন, দেশ বিনির্মাণ এবং দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করা। সেই লক্ষ্যেই ইসলামী মতাদর্শের আলোকে মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে চলেছে মীযান পত্রিকা। তাঁর কথায় মীযান কেবল খবরের কাগজ নয়; সংবাদের পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন দিক ও বিভাগের ওপর গবেষণামূলক প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছে। দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতা, বিভাজন, মেরুকরণের এই আবহেও মীযান সম্প্রীতি, সংহতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে জনমত গঠনে প্রয়াস জারি রেখেছে। মীযান তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে এতটুকু বিচ্যুত হয়নি, তার মূল্যবোধ এবং আদর্শগত অবস্থানে আজও অটল-অবিচল রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম