আইপিএল নিলামের একদম শেষ পর্যায়ে বড় সুখবর এলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য। প্রথমে দল পেলেন লিটন কুমার দাস, এরপর সাকিব আল হাসান। দুজনকেই ভিত্তিমূল্যে দলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
লিটন আইপিএলে খেলবেন প্রথমবার। সাকিবের জন্য আইপিএল যেমন চেনা আঙিনা, কলকাতাও তেমন তার পুরনো ঠিকানা। এবার নিয়ে অষ্টম মৌসুম খেলবেন তিনি বলিউড মহাতারকা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলে।
নিলামে লিটনের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি, সাকিবের ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ। আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ না দেখানোয় ভিত্তিমূল্যেই তাদেরকে পেয়ে যায় কলকাতা।
এই প্রথম আইপিএলের কোনো দলে একসঙ্গে খেলবেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার।
নিলামের নিয়মিত রাউন্ডে তাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই। পরে অবিক্রিত ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দলগুলির আগ্রহের ভিত্তিতে হওয়া ‘ত্বরিত’ পর্বের প্রথম রাউন্ডেও ওঠেনি তাদের কারও নাম। ‘ত্বরিত’ পর্বের দ্বিতীয় ধাপ সুখবর বয়ে আনে লিটনের জন্য। সাকিবের নাম ওঠেনি এই পর্বেও।
পরে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ক্রিকেটার তালিকা তখনও ফাঁকা ছিল কয়েকটি, তাদের জন্য রাখা হয় বিশেষ আরেকটি পর্ব। এখানেই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় সাকিবের।
গত আইপিএলের নিলামে দুই কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে অবিক্রিত ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এবার ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপি কমিয়ে তিনি ফিরছেন পুরনো ডেরায়।
২০১১ আসর দিয়ে কলকাতার হয়ে আইপিএলে পথচলা শুরু সাকিবের। এরপর ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ আসরে একই দলে ছিলেন তিনি। ২০১২ ও ২০১৪ আসরে দলের শিরোপা জয়ে রাখেন উল্লেখযোগ্য অবদান। ২০১৮ আসরের আগে সাকিবকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওই দলে দুই আসর খেলেন এই অলরাউন্ডার। ২০২১ আসরে ফের তিনি ফেরেন কলকাতায়।
কলকাতার হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৭.১৬ রান দিয়ে সাকিবের উইকেট ৪৮টি। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট। ৪২ ইনিংস ব্যাট করে ১৮.৪৩ গড়ে রান করেছেন তিনি ৫৯০, ফিফটি দুইটি।
দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লীগে লিটনের আগের অভিজ্ঞতা ছিল কেবল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। ২০১৯ আসরে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান।
সাকিব ও লিটনকে দিয়ে এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হলো তিনজন। গত আসরের দল থেকে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবারও ধরে রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
নিলামে নাম ওঠে তাসকিন আহমেদেরও। তবে ৫০ লাখ ভিত্তিমূল্যের পেসারকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। বাংলাদেশের আর একজনই ক্রিকেটারই ছিলেন তালিকায়। সেই আফিফ হোসেনের নামই ওঠেনি নিলামে।
বাংলাদেশ থেকে সাকিব, লিটন, মুস্তাফিজ ছাড়া নানা সময়ে আইপিএলে পা পড়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিম ইকবালের।
খুলনা গেজেট/ এসজেড