যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া নদী বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে। রোববার কর্মবিরতির কারণে এ বন্দরে সকল প্রকার লোড-আনলোড বদ্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, এ বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস না হওয়ায় এখান থেকে সার-কয়লাসহ খাদ্য পূর্ণ সরবরাহ হয়নি। এতে করে ব্যবসায়ীমহল চরম বিপাকে পড়েছে। এছাড়াও এই মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের চাষাবাদের জন্য ৬০ শতাংশ সার সরবরাহ করা হয়। আমদানীকৃত কয়লা, ভূট্টা, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য রয়েছে সরবরাহের মধ্যে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অন্যদিকে ভরা মৌসুমে সারের অভাবে কৃষকদের চাষাবাদ চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।বন্দর
আমদানীকারকরা বলছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে না এসে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অগ্রহণযোগ্য। দীর্ঘদিন থেকে একটি কুচক্রিমহল নওয়াপাড়া নদীবন্দরকে নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে। পাশাপাশি এই বন্দরকে অচল করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি আমাদের কাছে মনে হয়েছে।
কর্মবিরতির বিষয়ে নওয়াপাড়া গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং ও সেলস্ মিজানুর রহমান জনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের এই মোকামকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। তিনি আরো বলেন, চাষের এই ভরা মৌসুমে কর্মবিরতির কারণে সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় কৃষকরা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। সম্প্রতি নৌযান শ্রমিকদের উপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে নৌযান শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন নওয়াপাড়া শাখার সদস্য সচিব নিয়ামুল হক রিকো বলেন, খুলনা নৌযান মালিক সমিতিতে একটি আলোচনা চলছে। নওয়াপাড়া থেকে নেতৃবৃন্দরা ওই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। দ্রুত একটি সুষ্ঠ সমাধান হবে বলে আশা করছি।
খুলনা গেজেট/ টি আই