ভারতে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতি লক্ষ করা যাচ্ছে, তা অতি সংক্রামক। এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে দ্রুত ছড়াতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সবার দ্রুত টিকা নেওয়া জরুরি। তা হলেই এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে, জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তাঁর বক্তব্য, ভারতে সর্বত্র এই প্রজাতি সমান ভাবে ছড়াচ্ছে না।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্যা বলেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছিল, ভারতে পাওয়া প্রজাতির মধ্যে ওই দু’য়ের চরিত্রই বর্তমান। যার ফলে ভাইরাসটি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই নষ্ট করে দিতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বর্তমানে যে হারে ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হু। ভারতের জন্যই গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এতটা বেড়ে গিয়েছে। আরও গভীরে গিয়ে একেবারে আঞ্চলিক স্তরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে।’’
ভারতে এই মুহূর্তে যে দু’টি টিকা পাওয়া যাচ্ছে, তা কি করোনাভাইরাসের এই প্রজাতির মোকাবিলা করতে সক্ষম? উত্তরে হু-র প্রধান বিজ্ঞানী জানান, ‘‘ডাবল মিউট্যান্ট বিনাশে ওই টিকা সক্ষম কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য সামনে আসেনি। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বড় কোনও অসুখ বা মৃত্যু এড়াতে ভাল কাজ করছে ওই দু’টি টিকা। টিকা নেওয়া থাকলে অসুস্থ হলেও আপনাকে হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হবে না। একটাই বার্তা দিতে চাই, সুযোগ পেলেই টিকা নিয়ে নিন।’’ সূত্র : আনন্দবাজার