মোংলায় করোনার লকডাউনের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে কাঁচামালের পরিবহণ। তারপরও করোনার অজুহাত দেখিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পৌর শহরের প্রধান কাঁচা বাজারের নানা পণ্য। সোমবার সকালে বাজারে গিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচামালের দামের উর্ধগতির বিষয়ে। ক্রেতারা বলছেন, কুমড়া শাক বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এর আগে এমন চড়া দামে শাক কিনেননি তারা। আর ৮০ টাকা কেজি উচতার। কাঁকরোল, বেগুন, শসা, পটল, কচুরমুখীসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা দরে। কম দাম দেখা গেছে শুধু আলুর ২৫ টাকা কেজি।
দোকানীরা বলছেন, লকডাউনে গাড়ী বন্ধ তাই দাম বেশি। অথচ কাঁচামাল পরিবহনের গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের বাহিরের গ্রামগঞ্জ থেকে সাধারণ কৃষকেরা যে শাক সবজি নিয়ে শহরের এ প্রধান বাজারে আসছেন বিক্রির জন্য তাদের বাজারে বসতে দেয়া হচ্ছেনা। তাদেরকে বাজারে বসতে না দিয়ে বাজারের সিন্ডিকেট চক্র তাদের কাছ থেকে জোরজুলুম করে শাক সবজি কম দামে কিনে রেখে চড়া দামে বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় চড়া দামে কাঁচা পণ্য কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে খেটে খাওয়া সাধারণ দিনমজুর মানুষের। তারা এ সিন্ডিকেট চক্রের অবসানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য নুর আলম শেখ বলেন, পৌর শহরের প্রধান কাঁচা বাজারেও একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট চক্র আছে, তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় করোনার দোহাই দিয়ে এই অপকর্মগুলো করছে। এখানকার দ্রব্যমূল্যের (কাঁচামালের) উর্ধগতি রোধে প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ প্রয়োজন।
উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে দুই একদিনের মধ্যে বাজার কমিটিকে ডাকা হবে, এবং উপজলো সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশীকে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করানো হবে। যদি তারা কোন অজুহাতে পণ্যের দাম বেশি নিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, শহরের বাহির থেকে আসা কৃষকেরা অবশ্য এ বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন, অথবা পাইকারীও বিক্রি করে দিয়ে যেতে পারেন, সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। যদি তাদেরকে এ বাজারে বিক্রিতে বাঁধা দেয়া হয় তাহলে বাঁধাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/কেএম