করোনাকালে যারা বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন কিংবা দেশে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন তাদের প্রাণিম্পদ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি (শুক্রবার) সকালে খুলনার নূরনগরে নবনির্মিত বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই প্রতিশ্রুতি দেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতধরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশে^র বুকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনামহামারীর ছোবলে অনেকে কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তাদের জন্য নানামূখী প্রনোদণা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় লাখ ৯৬ হাজার কৃষক ও উদ্যোক্তার মাঝে নয়শত কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে আরো চার হাজার কোটি টাকা প্রনোদণা হিসেবে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা প্রাণিজ খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করবো।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক ড. নথুরাম সরকার, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার এসএম শাকিলউজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক ডাঃ দিলীপ কুমার ঘোষ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খামারী শেখ মোজাম্মেল হক। স্বাগত জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগে নির্মিত এই ভবনটি বাংলাদেশের প্রথম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ ভবন। ভবনটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে যাতে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে ছয়তলা এই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং খুলনা বিভাগের ১০টি প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম