করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের আকাশপথে ভ্রমণে ফের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এবার থেকে বিমান ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে পরতেই হবে মাস্ক। যদি এই নিয়মের অমান্য করা হয়, তবে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে যাত্রীদের।
বুধবার (৮ জুন) এমন নির্দেশই দিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ইন্ডিয়া.কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি জনস্বার্থ মামলায় একই রায় দেওয়া হয়। সেই রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বুধবার ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করে।
ডিজিসিএ’র নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার থেকে বিমানবন্দরে ও বিমানের ভেতরে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। যদি কোনো যাত্রী এই নিয়ম মানতে অস্বীকার করেন, তবে সেটিকে বিরুদ্ধ আচরণ বলেই গণ্য করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে বিমান থেকেও নামিয়ে দেওয়া যাবে। শুধু এই নয়, যদি কোনো যাত্রী মাস্ক পরাকে কেন্দ্র করে চরম বিরোধিতা করেন, তবে অভিযুক্তদেরকে ‘নো ফ্লাই’ তালিকাভুক্তি করা হবে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকল যাত্রীকেই এই নিয়ম মানতে হবে। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া মাস্ক খোলা যাবে না। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও জানানো হয়েছে, নিয়ম ভঙ্গ করা হলে যাত্রীদের জরিমানা করা হবে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিআইএসএফ ও পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো যাত্রী মাস্ক ছাড়া বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যদি কেউ মাস্ক না পরে আসেন, তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হবে। কিন্তু এরপরও যদি কেউ মাস্ক পরতে অস্বীকার করেন, তবে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বিমানবন্দর ও ফ্লাইটের ভেতরে থাকাকালীন সকল যাত্রীকেই যাবতীয় করোনাবিধি অনুসরণ করে চলতে হবে।
যদি কেউ সেই নির্দেশ অমান্য করেন, তবে ফ্লাইট উড্ডয়নের আগেই বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে এবং মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে জানিয়েছিল, করোনা সংক্রমণ এখনও শেষ হয়নি, বরং ফের একবার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই বিমানের যাত্রীদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলতে হবে।