চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১২শ মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সোয়া ২ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, থাইল্যান্ড ও রোমানিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৮৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ১৫ হাজার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৭১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে চার শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে এক লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩০৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার ১৫৮ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪০৮ জন এবং মারা গেছেন ১০১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ২৮৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার ৪২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৫২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৯ জনের।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ১২১ জনের। একইসময়ে রোমানিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১০৭ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩১৮ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ লাখ ৭২ হাজার ৫০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮২ জনের। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৪১ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।