যশোরে করোনার টিকাদান উৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এসময় তিনি বলেন, করোনা থেকে রক্ষা পেতে টিকার বিকল্প নেই। সবাইকে এ টিকা গ্রহণ করতে হবে। তবেই সুস্থ থাকা যাবে, এ মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
রোববার সকালে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন ও যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন ও কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনসহ টিকাদানকারী স্বাস্থ্যসেবী ও গ্রহীতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, হাসপাতালের সিনিয়র কনসাালটেন্ট ডাক্তার হিমাদ্রি শেখর সরকার, মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়াজ রনি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যশোরে উৎসবমূখর পরিবেশে মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। করোনা মহামারি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সরকার সবধরণের ব্যবস্থা করেছে। সারাদেশে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, সব সময় সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরই মাক্স খুলে ঘোরাফেরা করলে হবে না। মাক্স অবশ্যই পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। এটি বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে সিনোফার্মের পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর থেকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। চলমান রয়েছে জেলার আটটি পৌরসভার ও ৯৩টি ইউনিয়নে গণটিকা টিকাদান কার্যক্রম। বর্তমানে জেলায় টিকার সঙ্কট নেই।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান জানান, যশোরের মানুষ এখন টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন টিকার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যারা নিবন্ধন করেছেন সকলেই টিকা পাবেন। তবে, টিকাদান কেন্দ্রে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ছয়টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে চারটি সকলের জন্য, একটি ভিআইটি ও একটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য। এ সকল টিকা কেন্দ্রে সেবিকাদের সাথে ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম