১.এক ডোজও ভ্যাকসিন নেননি এমন নাগরিকরাই কানাডায় এখন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন কিংবা মারা যাচ্ছেন। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেয়া নাগরিকদের আক্রান্ত হওয়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা মৃত্যুর হার একেবারেই নগণ্য। প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেয়া শুরুর পর থেকে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হারের পর্যালোচনা করে হেলথ কানাডা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
গত ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে পুরো কানাডায় ১৩ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেয়া মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ৬৬ জন, মোট মৃত্যুর মাত্র ০.৫ শতাংশ। মোট সংক্রমণের মাত্র ৪ শতাংশ রোগী হচ্ছে যারা অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এক ডোজ ভ্যাকসিন নেয়া সংক্রমিত রোগীর মৃত্যুর হার হচ্ছে ২ শতাংশ। এদের প্রায় সবারই নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা ছিলো।
কোভিড ভ্যাকসিন কেবল সংক্রমণই ঠেকিয়ে দিচ্ছে না, হাসপাতালে ভর্তি এমন কি মৃত্যুও ঠেকিয়ে দিচ্ছে। ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করেই কানাডা এখন অর্থনীতির চাকা খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো ‘ওয়ান ডোজ সামার- টু ডোজ ফল’ এর প্রতিশ্রুতি এখন ‘টু ডোজ সামারে’ পরিণত হতে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
২. ভ্যাকসিনে মুক্তি খুঁজলেও কানাডা গত কয়েক মাস কাটিয়েছে লকডাউনের ভেতর দিয়েই, স্বাস্থ্যবিধি মানার মধ্য দিয়েই। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর, চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর চাপ কমানোর প্রাকৃতিক এই নিয়মকে পাশ কাটিয়ে কারো পক্ষেই স্বাভাবিকতার পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
৩. করোনা এমনি এমনি চলে যায় না, তাকে সুযোগ দিলে সে সংক্রমণ ছড়ায়, সে গ্রাম-শহর চেনে না, সে ধনী-গরীব বুঝে না, তার কোনো ধর্মবোধ নাই। তার কাজ হচ্ছে সংক্রমণ ছড়ানো এবং সংক্রমণ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে নিজের রূপান্তর ঘটিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করা। করোনাকে সংক্রমিত হতে দেয়া মানে হচ্ছে তার বংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।
লেখক : প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম
খুলনা গেজেট/কেএম