করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাটাগুর বাসকার আরও একটি মা কচ্ছপটি ২৩ টি ডিম পেড়েছে। শনিবার সকালে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে বালুর ভেতর থেকে ডিম গুলো তুলে সংরক্ষন করা হয়। এ নিয়ে চলতি মাসেই তিন দফায় ৭৩ টি পেড়েছে বাটাগুর বাসকার মা কচ্ছপ। প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কচ্ছপের ডিমগুলো ইনকিউবিশনে (নিবিড় পরিবীক্ষন) রাখা হয়েছে।
এ কেন্দ্রে প্রজননে সক্ষম বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুর বাসকার ৪টি মা কচ্ছপ রয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী একটি কচ্ছপটি ২৭ টি, ৩ মার্চ দ্বিতীয় দফায় অপর একটি মা কচ্ছপ ২৩ টি, গত ৫ মার্চ আরেকটি মা কচ্চপ ২৩ টি ডিম দেয়। ডিম পাড়ার দিন থেকে ৬৫-৬৭ দিন পর ডিম থেকে বাচ্চা পাওয়া যায়।
বনবিভাগ আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাটাগুরবাসকা কচ্ছপের প্রজননের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালে ২টি মা’ কচ্ছপ পর্যায় ক্রমে ৬৩ টি ডিম থেকে ৫৭ টি বাচ্ছা ,২০১৮ সালে ২টি কচ্ছপের ৪৬ টি ডিম থেকে বাচ্চা ২১ টি বাচ্ছা, ২০১৯ সালে ১টি কচ্ছপের ডিম ৩২ টি ডিম, ৩২ টি বাচ্ছা, ২০২০ সালে ২ টি কচ্ছপের ৬৮ টি ডিম থেকে বাচ্চা হয় ৫২ টি। এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ডিম পাড়ার উপযোগী ৪টি স্ত্রী কচ্ছপ রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রজনন কেন্দ্রে ২ টি মা কচ্ছপ, ২০১৮ সালে ১ টি, ২০১৯ সালে ২ টি এবং ২০২০ সালে ২ টি কচ্ছপে ডিম পেড়ে ছিল। আর সম্প্রতি প্রজনন কেন্দ্রে ছাড়া অপর দুটি কচ্ছপ ডিম পাড়ার উপযোগী হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি