মেগা নিলামে সাধারণত পরবর্তী তিন বছরের জন্য স্কোয়াড গড়ে নেয় আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কিন্তু টুর্নামেন্টটির অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস সেখানেই হেরে গেছে বলে দুই সাবেক ক্রিকেটারের তরফে মন্তব্য এসেছিল। সেই মন্তব্য যে অমূলক ছিল না তার প্রমাণ মাঠের পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে চেন্নাই টানা সর্বোচ্চ পঞ্চম হারের রেকর্ড গড়েছে। একইসঙ্গে আইপিএলের চলমান অষ্টাদশ আসরের প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ঘরের মাঠ চিপকের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গতকাল (বুধবার) পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ১৯১ রান তোলে। যদিও যুজভেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে তারা ৪ বল হাতে রেখেই গুটিয়ে যায়। চেন্নাইয়ের পক্ষে স্যাম কারান সর্বোচ্চ ৮৮ (৪৭ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায়) রান করেন। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি চেন্নাইয়ের আর কেউই। পাঞ্জাবের চাহাল সর্বোচ্চ ৪টি এবং মার্কো জানসেন ও আর্শদীপ সিং দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব ২ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। প্রতি ম্যাচের মতো এদিনও তাদের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং শুরুটা করেছিলেন ঝোড়ো গতিতে। যদিও প্রিয়াংশ আউট হয়ে যান ২৩ রান করে। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি (৩৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান) তুলে নেন প্রভসিমরান। পাঞ্জাবের অধিনায়ক আইয়ার ৪১ বলে ৫ চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ রান করে আউট হলেও, ২৩ রানের ক্যামিওতে দলের জয় নিশ্চিত করেন শশাঙ্ক সিং। এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে গেল পাঞ্জাব।
অন্যদিকে, চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই হেরেছে চেন্নাই। যা আসরের প্রথম দল হিসেবে ধোনি-জাদেজাদের বিদায় নিশ্চিত করল। তারা এখন আর প্লে-অফের দৌড়ে নেই। এ নিয়ে টানা দুই মৌসুমেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে চেন্নাই। সবমিলিয়ে আইপিএলে সর্বোচ্চ পাঁচবারের শিরোপাধারী ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একাধিক লজ্জার নজির গড়েছে।
চেন্নাইয়ের যত লজ্জার কীর্তি
চলতি আসরে চিপকে টানা পাঁচ ম্যাচে হার, আইপিএলে ঘরের মাঠে এমন লজ্জায় আর কখনোই পড়েনি চেন্নাই। এই মৌসুমে তারা চিপকে ৬ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতে জিতেছে। সবমিলিয়ে ১০ ম্যাচে জয় কেবল ২টি।
চিপকে এর আগে কেবল টানা দুই ম্যাচে হারের রেকর্ড আছে স্বাগতিক চেন্নাইয়ের। এবার সংখ্যাটাকে তারা অনেক উঁচুতে নিয়ে গেল।
এই প্রথম আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের আগেই বিদায়।
খুলনা গেজেট/এনএম