খুলনার কয়রা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবৈধ বালু উত্তোলনে নিরব রয়েছে প্রশাসন। নদীর চর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে ওয়াপদার রাস্তা ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে এলাকা জুড়ে মানুষের মাঝে গুঞ্জন চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন দেশীয় পরিবেশ, কৃষি জমি এবং জলজপ্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য কাবিখা প্রকল্পের ৫ টন চাউলের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের মতো সময় ধরে স্কুলের পার্শ্ববর্তী কয়রা নদীর চরের একটি মৎস্য ঘের থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্কুলের মাঠ ভরাট করছে। যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এটি একটি নদীর ভাঙ্গন কুল হিসেবে পরিচিত। এখানে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সরকারিভাবে নদীর পাশে প্রাচীর হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র প্রসাদ সানা বলেন, আরশাদ মৌলভি সানা স্কুলের সভাপতি ওনার কাছে শোনেন।
অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে তিনি অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো অবগত আছি স্কুলে বালু উওোলন করছে। আমি তো বালু তোলার মালিক না ওদের কাছে শুনেন।
সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহাক কমিটির সভাপতি মাওলানা আরশাদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি মোবাইল সংযোগ রিসিভ করেননি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, এখন চৌকিদার পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম