বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি প্রতি মাসেই একটা সমন্বয়ের জায়গায় যাব। এটা নির্ভর করে জ্বালানির প্রাইসের ওপর। তবে এ মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বাড়বে কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না। মূল্য কমতেও পারে।’
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ সেশন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বছরটি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জিং। আপনার জানেন সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কাজ করে। সামনে আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হবে। এছাড়া রমজান মাসও সামনে আসছে। বৈশ্বিক যে সমস্যা চলছে, সেটাকে মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসক ও কমিশনারদের বলা হয়েছে তারা যেন বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য কাজ করেন। এছাড়া সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে যে বকেয়া বিল রয়েছে সেগুলো যেন নিয়মিত আদায় করার ব্যবস্থা করেন। সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যেন পাওয়া যায় সে জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তারা যেন যোগাযোগ রাখে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু প্রায়োরিটি আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রাখার, যেমন হাসপাতাল একটি বড় প্রায়োরিটি। সেচ, শিল্প কারখানা, কৃষি একটি বড় প্রায়োরিটি। সার কারখানাগুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সে বিষয়গুলোকে নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে যে সমস্ত পরিত্যক্ত জমি আছে সেগুলোকে সোলারের আওতায় নিয়ে আসা যায় কিনা সে বিষয়েও জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে জেলা পর্যায়ে যত সরকারি বিল্ডিং আছে সেগুলোতে সোলারের ব্যবস্থা করা যায় কিনা ও সরকারি স্কুলগুলোতেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন কিনা সে বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।’
সামনের দিনে বিদ্যুতের সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজস্ব গ্যাস কিছুটা বৃদ্ধি করেছি। স্পট থেকে কেনার পরিকল্পনা করছি। সেখান থেকে গ্যাস আসবে, আমরা কিছুটা সাশ্রয় করতে পারব। এছাড়া শিল্প কারাখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্যও আমরা স্পট থেকে গ্যাস কিনতে যাচ্ছি।’
খুলনা গেজেট/ এসজেড