বাগেরহাটের কচুয়ায় গভীর রাতে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত পরিচয় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) রাত দুটোর দিকে কচুয়া উপজেলা সদরের মধ্যপাড়া এলাকায় একটি সড়কের পাশে ফেলে রাখা ওই ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ওই রাতেই নবজাতকটিকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কৃষক আতিকুর রহমান হাওলাদার বলেন, গভীর রাতে কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। বাড়ির সামনে রাস্তায় বের হই। ডাক চিৎকারে স্থানীয় আরও কিছু লোক আসেন। বস্ত্র্রহীন ওই নবজাতকটি রাস্তার পাশে কাঁদছিল। পরে লুঙ্গি পেচিয়ে নবজাতককে থানায় নিয়ে যাই। ধারণা করছি ভূমিষ্ট হওয়ার এক দেড় ঘন্টার মধ্যেই বাচ্চাটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নারীকাটা স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে আতিকুর রহমান হাওলাদারসহ কিছু লোক নবজাতকটিকে থানায় নিয়ে আসেন। আমরা তাৎক্ষনিকভাবে নবজাতকটিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এই শিশুর অভিভাবকদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুরুল আলম বলেন, নবজাতকের ওজন কম। পুরোপুরি সুস্থ নয়। তাই উন্নত চিকিকৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রবেশন অফিসার সোহেল পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে। নবজাতকটি সুস্থ হলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে এবছর ৭ জুন বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর এলাকার সাইদুলের চায়ের দোকানের পিছনে ক্যারাম বোর্ডের উপর থেকে একটি মেয়ে নবজাতক উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের বাগান থেকে একটি ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করেন শাহ আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি।
খুলনা গেজেট/ টি আই