খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ মাঘ, ১৪৩১ | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ফসল কাটা নিয়ে চাঁপাই নাবাবগঞ্জ চোকা-কিরণগঞ্জ সিমান্তে উত্তেজনা, ককটেল বিস্ফোরণ বেশ কয়েকজন আহত; সমাধানের চেষ্টায় বিজিবি-বিএসএফ
  বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
খুলনায় প্রতারক সুমন সাহা গ্রেপ্তার

কখনো ম্যাজিষ্ট্রেট, কখনো এসি ল্যান্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদক

কখনো ফেনীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবার কখনো পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অবশেষে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রতারক সুমন সাহা।

শুক্রবার নগরীর মুন্সিপাড়া ইস্পাহানী লেন এলাকার ৪৮/৪নং হোল্ডিংয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার উত্তর খেজুরবাড়িয়া গ্রামে। তার বাবার নাম শ্যামল কুমার সাহা।

পুলিশ জানায়, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সুমনের বিরুদ্ধে শুক্রবার ফেনী জেলার সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে ফেনী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ১৭ মে তার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় আরেকটি মামলা হয়েছিলো।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) বি এম নুরুজ্জামান জানান, গত ২ অক্টোবর দুপুরে ফেনী জেলার সোনাগাজী বাজারের মদিনা মিষ্টিমেলা দোকানের মালিক মো. হেদায়েত উল্যাহকে ফোন দেয় প্রতারক সুমন। সে নিজেকে ফেনী জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ পরিচয় দিয়ে মিষ্টির দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানায়।

দোকান মালিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করার জন্য অনুরোধ করলে ‘কথিত ম্যাজিস্ট্রেট’ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৯২৯-৬৮৬৩৪৫ এর নগদ এ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। মোঃ হেদায়েত উল্লাহ ওই দিনই ২ হাজার টাকা পাঠান। পরে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি ফেনী জেলা পুলিশকে জানায়।

বি এম নুরুজ্জামান জানান, ফেনী জেলা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন, প্রতারকের অবস্থান খুলনা মহানগরী এলাকায়। ফেনী জেলা পুলিশের অনুরোধে শুক্রবার প্রথম প্রহরে প্রতারক সুমন সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ও দুটি সীম উদ্ধার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সুমন সাহা জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার পরিচয়ে ফোন করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও সীম প্রতারণা শেষে ভেঙ্গে ফেলে।

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!