ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবির নির্বাচকরা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পুরো আসরে খেলার মতো ফিট নন তামিম।
তবে বুধবার বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় তামিম জানিয়েছেন, ফিজিও’র রিপোর্টে তিনি খেলতে পারবেন না এমন কিছু ছিল না। তিনি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না এমন কথাও বলেননি। এছাড়া গত ৩-৪ মাস তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান করা তামিম।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে কোথায়ও ছিল না আমি বিশ্বকাপে খেলতে পারবো না। চাইলে যে কেউ এটা নিয়ে আমার সঙ্গে সরাসরি বসতে পারে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম। আমার শরীরে ব্যথা ছিল এটা ঠিক। প্রেস কনফারেন্সেও আমি তা বলেছি। মিডিয়ায় এসেছে, পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না, আমার ইনজুরি। এটা আমার বিশ্বকাপে না যাওয়ার কারণ নয়। ব্যথা থাকলেও আমি ইনজুরড নই।’
তামিম ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “বোর্ডের শীর্ষ পর্যায় থেকে আমাকে একজন ফোন করলেন। নাম বলছি না। তিনি বললেন, ‘তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে ম্যানেজ করে খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচ খেলো না।’ আমি বললাম প্রথম ম্যাচ এখনও ১২-১৩ দিনের ব্যাপার। তখন বললেন, ‘তুমি যদি খেলো, তোমাকে নিচে ব্যাটিং করাবো।’ আমি এই বিষয়টি ভালোভাবে নেইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। ১৭ বছর ধরে আমি এক পজিশনে খেলছি। অন্য পজিশনে কখনও ব্যাটিংই করিনি। ওই অভিজ্ঞতাই নেই।”
তিনি বলেন, ‘আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তখন আমি বললাম, আপনাদের এমন চিন্তা থাকলে আমাকে বিশ্বকাপে পাঠায়েন না। আমি নোংড়ামির মধ্যে থাকতে চাই না। আমি নোংড়ামি মানতে পারবো না।’
তার সঙ্গে যা হয়েছে তা পরিকল্পিত উল্লেখ করে তামিম বলেছেন, ‘গত তিন-চার মাস আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। একটা বিষয় ইনসিডেন্ট (আকস্মিক ঘটনা) হতে পারে, দুইটা মিস আন্ডারস্টানডিং (ভুল বোঝাবুঝি) হতে পারে। কিন্তু একজনের সঙ্গে তিন-চার মাসে সাত-আটটা ঘটনা ঘটলে সেটা ইন্টেনশনালি (পরিকল্পিত)। যা ফিল করেছি, যা ঘটেছে সেটাই জানালাম। যারা বিশ্বকাপে গেছেন তাদের জন্য শুভকামনা। আমাকে আপনারা মনে রাখিয়েন।’
খুলনা গেজেট/ টিএ/এমএম