বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও লিটন ১২৩ রানের সহজ টার্গেট নিয়ে সতর্কতার সাথে নিজেদের ইনিংস শুরু করে। দু’জনে নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে ধীর গতিতে রানের চাকা ঘুরাতে থাকে,তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ৩৯ রান। তামিম ২১ ও লিটন ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কিন্তু ১৪ তম ওভারে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেইন এর দ্বিতীয় ডেলিভারি লিটনের ব্যাট ফাকি দিয়ে অফ স্ট্যাম্পে আঘাত করে। টাইগাদের ৪৭ রানের জুটি ভেঙ্গে লিটন ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ওয়ানডাউনে আসা শান্ত অধিনায়ক তামিমের সাথে জুটি বাধলেও বেশিক্ষন টিকতে পারেনি। ওপেনিং জুটি ভেঙে দেয়া সেই স্পিনার হোসেইন এর বলে জেসনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ১ রানে ফিরে যান তিনি। ১৬ তম ওভারে দলের সংগ্রহ ছিলো ২ উইকেটে ৫৭। শান্তর বিদায়ের পর উেইকেটে আসেন সাকিব।
দলের জয় নিশ্চিত করতে তখন সাকিবদের প্রয়োজন মাত্র ১৭ রান। বাংলাদেশের উইকেটে মুশফিকের সাথে সাকিব তাল মিলিয়ে আত্নবিশ্বাসের সাথে ভালোই ব্যাট চালাচ্ছিল। ২৮ তম ওভারে প্রতিপক্ষের সফল বোলার স্পিনার হুসেইন তার ১০ ওভারের কোটা পুরন করতে আসেন। নিজের ৫ম ডেলিভারি হুসেইন একটু টেনে দেন, অপর প্রান্তে সাকিব ব্যাট তুলে শট খেলতে যেয়ে বিপাকে পড়েন। হুসেইনের ডেলিভারি সাকিবের গ্লাভসে লেগে ভেঙ্গে যায় উইকেট। ৪৩ বল মোকাবেলা করে তিনি একটি বাউন্ডারির মার মেরে ১৯ রানে বোল্ড হন।একই সাথে হুসেইন তার ৩য় শিকার তুলে নেন মাত্র ২৬ রান দিয়ে। এরপর মুশফিকের সাথে জুটি বাধেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ।৩৪তম ওভারের ৫ম বলে মুশফিক প্রতিপক্ষের নাকরুমাকে রিভারসুইপ শট খেলে বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন। একই সাথে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের পাশে ১২৫ রান যোগ করে, জয হয় ৬ উইকেটে। মুশফিক ৩১ বল মোকাবেল করে ১৯ ও মাহমুদুল্লাহ ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের অপর উইকেট নেন জেসন।
এর আগে টস জিতে অধিনায়ক তামিম প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠায়। ওয়েষ্ট ইন্ডিজ দল সাকিবের স্পিন জাদুতে ১২২ রানে আটকে যায় ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- উইন্ডিজ: ১২২/১০, ৩২.২ ওভার (মায়ার্স ৪০, পাওয়েল ২৮; সাকিব ৪/৮, হাসান ৩/২৮, মুস্তাফিজ ২/২০) বাংলাদেশ: ১২৫/৪, ৩৩.৫ ওভার (তামিম ৪৪, মুশফিক ১৯*, সাকিব ১৯; আকিল ৩/২৬, জেসন ১/১৯)
ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন