একের পর এক আক্রমণ করেও মিলছিল না জালের দেখা। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নিলেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। সেই গোলটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ব্যবধান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরল আর্সেনাল।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার ১-০ গোলে জিতেছে মিকেল আর্তেতার দল। ১৪ বছর পর ইউনাইটেডের মাঠে লিগ ম্যাচে জিতল আর্সেনাল। এখানে এর আগে তাদের সবশেষ জয়টি ছিল ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে, একই ব্যবধানে।
ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ছিল উলে গুনার সুলশারের শততম ম্যাচ। উপলক্ষটা মলিন হলো হারের বেদনায়।
ম্যাচের শুরুর দিকে দুই দলের খেলায় ছিল না ধার। প্রথম দশ মিনিটে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি কেউ।
পঞ্চদশ মিনিটে ম্যাচে প্রথম সুযোগটি পায় আর্সেনাল। ডান দিক থেকে এক্তর বেইয়েরিন দারুণ এক ক্রস বাড়ান দূরের পোস্টে। ডাইভ দিয়েও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি অবামেয়াং।
ইউনাইটেডের সামনে প্রথম সুযোগ আসে ২১তম মিনিটে। ডান দিক থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের ক্রস বাঁ দিকে খুঁজে পায় ম্যাসন গ্রিনউডকে। ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে তার শট পা দিয়ে ফিরিয়ে আর্সেনালের ত্রাতা গোলরক্ষক বার্নড লেনো।
৩৯তম মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি আর্সেনাল। উইলিয়ানের বাঁ পায়ের শট ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। বিরতির আগে বেইয়েরিনের ক্রসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে বুকায়ো সাকার হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে গোলশূন্য স্কোরলাইনেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন অবামেয়াং। কিন্তু আলেকসঁদ লাকাজেতের পাস থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
অবশ্য সেই অবামেয়াংই ৬৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে এগিয়ে নেন দলকে। পল পগবা ডি-বক্সে বেইয়েরিনকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় ইউনাইটেড। শেষ দিকে বদলি খেলোয়াড় ডনি ফন ডি বিকের একটি প্রচেষ্টা পোস্টে লাগলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
সাত ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছে আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ইউনাইটেড ৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চদশ স্থানে আছে।
দিনের আরেক ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠে ২-১ গোলে হারা এভারটন সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে। অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ৪-৩ গোলে জেতা সাউথ্যাম্পটন সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স চারে আছে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।
খুলনা গেজেট/এএমআর