টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের অলিখিত কোয়াটার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে ক্যারিবীয়রা ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় প্রোটিয়াদের। জবাবে ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। এ জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনলে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে সোমবার সকালে (২৪ জুন) টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৫ রানে হারায় কাইল মায়ার্স ও নিকুলাস পুরানের উইকেট।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হালে পানি পায় ক্যারিবীয়রা। অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে কাইল মায়ার্স করেন ৩৪ বলে ৩৫ রান ও রোস্টন চেজ করেন ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস।
দলীয় ৮৬ রানে মায়ার্স-চেজ জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার। শুরু হয় প্রোটিয়া স্পিনারদের দাপট। একে একে ফিরে যান পাওয়েল,রাদারফোর্ড, রাসেল, আকিলরা। মাঝখানে রাসেল ২টি ছক্কা হাকিয়ে কিছুটা আশা জাগালেও রান আউট হয়ে ফিরে যান ১৫ রান করে।
শেষমেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন স্পিনাররা ছিলেন উজ্জ্বল। তাব্রিজ শামসি নেন ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। মার্করাম, মাহরাজ, রাবাদা ও জানসেন নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাও।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রিজা হেনড্রিকসকে শূণ্য রানে ফেরান রাসেল। শেষ বলে ফেরান ৭ বলে ১২ রান করা ডি কককেও। এরপরে হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টি শেষে ১৭ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩। ১৮ রান করে মার্করাম ও ১০ বলে ২২ রান করা হেনরিখ ক্লাসেন আউট হয়ে ফিরে গেলেও কিছুক্ষণ দলের হাল ধরেন ত্রিস্টান স্টাবস। ২৭ বলে ২৯ রান করে রোস্টন চেজের শিকারে পরিণত হন তিনি। এদিন হাসেনি মিলারের ব্যাটও- ১৪ বলে করেন মাত্র ৪ রান। শেষদিকে মার্কো জানসেন ও রাবাদা জয়ের বন্দরে নিয়ে নিয়ে প্রোটিয়াদের। ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চেজ ৩টি ও ২টি করে উইকেট নেন রাসেল ও আলজারি জোসেফ।
খুলনা গেজেট/এনএম