ওমিক্রনের ধরন বিএফ.৭ উপধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কায় সাতক্ষীরার ভোমরা চেকপোস্টে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতা জারির নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কার্যকর করা হয়েছে, যা করোনার সময় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে ফেরত আসা অধিকাংশ যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লাইনে দাড়নো অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই মুখে মাফলার জড়িয়ে রেখেছে। এক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাস্ক পরে আসতে দেখা গেছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রের আশপাশে বাইরের যে সব লোকজন ভিড় করছে তাদের কারো মুখে কোনো মাস্ক নেই।
ভোমরা চেকপোস্ট ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক, পিপি ছাড়াই ভারতীয় ট্রাকচালকরা অবাধে ঢুকছেন বন্দরে। তাদের কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রমও। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হয়েছিল। এরইমধ্যে সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মাজরিহা হোসাইন জানান, এই চেক পোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২ শ’ পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন। ইমিগ্রেশনে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরাও বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সর্তক করার চেষ্টা করছি। একই সাথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় ট্রাক চালকরা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন সেব্যাপারে প্রতিনিয়ত তাদেরকে সর্তক করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ সবিজুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন বিএফ-৭ নিয়ে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও এব্যবস্থা আগে থেকেই বন্দরে কার্যকর ছিল।
তিনি বলেন, চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো স্থায়ী অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় তাদের কাজ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইমিগ্রেশন চেক পোষ্টের একটি গোল ঘয়ে আমাদের লোক কাজ করেন। এছাড়া জনবলের অভাবে বন্দরে কাজ করতে অনুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড