বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও শেষ হয়েছে ভারতের কাছে হেরে। বাছাইয়ে শেষ ম্যাচে তাই ওমানের সঙ্গে শুধু সম্মানের লড়াই ছিল লাল-সবুজদের।
সেই সম্মান বাঁচানোর ম্যাচে জসিম বিন স্টেডিয়ামে ওমানের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। ছয় হার ও দুই ড্রয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে জেমি ডের বাহিনী।
জামাল ভূঁইয়াসহ পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছাড়া বলা যায় প্রথম লেগের থেকে কম ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে ৪-১ গোলে ওমান জেতে। আজকের ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল ওমান।
এতে পারফরম্যান্সে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। পুরো ম্যাচ আধিপত্য নিয়ে খেলেছে দলটি। আর রক্ষণ সামলানোই ছিল যেন বাংলাদেশের নিয়তি।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভয়ংকর একটি আক্রমণ সাজায় ওমান। সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে ওমানের হেড জালে ঢোকার সময় বল গোললাইন থেকে ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ইব্রাহিম।
তার পাঁচ মিনিট পরে ওমানকে আর থামানো যায়নি। আলী আল গাফ্রির গোলে লিড নেয় ওমান।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে একটা থ্রো পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে একটি কর্নার আদায় হয়। কর্নার থেকে ম্যাচে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলটা তপুর মাথা ছুঁয়ে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে একেবারে ফাঁকায় পান ইয়াসিন আরাফাত।
একেবারে খালি পোস্ট পেয়েও হেডটা গোলকিপার সোজা করেন এই ডিফেন্ডার। ওমানের গোলকিপার ফায়াজ বল ফিস্ট করে বিপদমুক্ত করেন। কৃতিত্ব দিতে হবে তাকেও।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ওমানের নেয়া ফ্রি-কিক বাম দিকে ঝাপিয়ে দারুণভাবে ক্লিয়ার করে দেন গোলকিপার জিকো। নাহলে ব্যবধান প্রথমার্ধেই বড় করে বিরতিতে যেতো ওমান।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানভাবে বাংলাদেশকে চেপে রাখে ওমান। ধারাবাহিক আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ওমানকে দ্বিতীয় গোলের সন্ধান খুঁজে দেন খালিদ আল হাজরী।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে আল হাজরীর আরেকটি স্ট্রাইকে তিন গোলের জয় নিশ্চিত করেছে ওমান।
এরপরে কিছুটা গোছানোর চেষ্টা করলেও ওমানের বক্সে বল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে জেমির বাহিনী।
এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই মিশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সুযোগ আছে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার। তবে পেরুতে হবে প্লে-অফ বাধা।