এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে যশোর শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদিন বিপুল সংখ্যক এসব পরীক্ষার্থী বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স
কালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষায় এক হাজার আটশ’ ১৭ জন এবং বিকেলে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে দুশ’ ৪৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের বেশির ভাগই ছাত্রী। করোনা মহামারির প্রভাবে এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা।
এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষা। আর বিকেলে হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় পরীক্ষার্থীরা।
এদিন শিক্ষাবোর্ড থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, খুলনা জেলার ৫৮টি কেন্দ্রে দুশ’ ১৫ জন, বাগেরহাটের ২৭টি কেন্দ্রে একশ’ ৫৮, সাতক্ষীরার ২৭টি কেন্দ্রে দুশ’ ২৬, কুষ্টিয়ার ৩০টি কেন্দ্রে দুশ’ এক, চুয়াডাঙ্গার ১৭টি কেন্দ্রে একশ’ ৩৯, মেহেরপুরের ১৩টি কেন্দ্রে ৮৭, যশোরের ৫২টি কেন্দ্রে দুশ’ ৫০, নড়াইলের ১৪টি কেন্দ্রে ৯৯, ঝিনাইদহের ৩৬টি কেন্দ্রে দুশ’ ৭৬ ও মাগুরার ১৭টি কেন্দ্রে একশ’ ৬৬ জন পরীক্ষার্থী বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ বিষয়টিতে অনুপস্থিতির হার শতকরা ১.৭১ শতাংশ।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ে ফরম পূরণ করে এক লাখ পাঁচ হাজার নয়শ’ ৫৭ জন। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে এক লাখ চার হাজার একশ’ ৪০ জন।
এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষায়ও দু’ শতাধিক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ বিষয়ের পরীক্ষায় খুলনা জেলার ৫৮টি কেন্দ্রে ৫৪, বাগেরহাটের ২৭টি কেন্দ্রে ৩৪, সাতক্ষীরার ২৭টি কেন্দ্রে ২৫, কুষ্টিয়ার ৩০টি কেন্দ্রে ২৮, চুয়াডাঙ্গার ১৭টি কেন্দ্রে পাঁচ, মেহেরপুরের ১৩টি কেন্দ্রে ১৬, যশোরের ৫২টি কেন্দ্রে ৩৪, নড়াইলের ১৪টি কেন্দ্রে ২৬, ঝিনাইদহের ৩৬টি কেন্দ্রে আট ও মাগুরার ১৭টি কেন্দ্রে একশ’ ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি। হিসাব বিজ্ঞানে অনুপস্থিতির হার শতকরা ১.০৩।
এ বিষয়ে সর্বমোট ২৩ হাজার সাতশ’ ৭০ জনের পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরম পূরণ করে। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ২৩ হাজার পাঁচশ ২৪ জন।
বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে দরিদ্র অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের কোনো না কোনো আয়মূলক কাজে সম্পৃক্ত করেছে। আবার কোনো কোনো পরিবার মেয়ে সন্তানকে নানা কারণে পরীক্ষা দেয়া থেকে বিরত রেখেছে। যে কারণে এবার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা বেড়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই