এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ৩, পাকিস্তানের এক জয়
ষষ্ঠ বারের মতো যে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে ছন্দময় ক্রিকেট খেলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ২৩ রানের অনন্য এক জয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনালে খেলতে নামলেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। আগের তিনবারের দেখায় দুটি ফাইনাল জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। বাকি একটি পাকিস্তান। আজকের ম্যাচ জেতার পর দুই দলের ব্যবধান এখন ৩-১। তবে এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কাই। সবমিলিয়ে ১২ বার ফাইনাল খেলেছে। তবে এবারই প্রথম কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে।
দেখে নেয়া যাক সেই তিনটি ফাইনালের ফলাফল।
১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল (শ্রীলঙ্কা)
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরেই ফাইনালে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান। ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯১ রান তুলতে সক্ষম হয় ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদের পাকিস্তান। ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মিয়াঁদাদ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন কৌশিক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪২.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। অরবিন্দ ডি সিলভা ৫২ ও অর্জুনা রানাতুঙ্গা ৫৭ রান করেন। ৩২ রানে ৩টি উইকেট নেন আব্দুল কাদির। শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। টুর্নামেন্ট সেরা হন শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
২০০০ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল (বাংলাদেশ)
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সাঈদ আনোয়ার ৮২, ইনজামাম উল হক ৭২ ও মঈন খান ৫৬ রান করেন। ৪৪ রানে ২টি উইকেট নেন নুয়ান জয়সা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৫.২ ওভারে ২৩৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মার্ভান আতাপাত্তু ১০০ রান করেন। ওয়াসিম আকরাম ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন। পাকিস্তান ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচ সেরা হন মঈন খান। টুর্নামেন্ট সেরা হন মোহাম্মদ ইউসুফ।
২০১৪ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল (বাংলাদেশ)
মিরপুরে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ২৬০ রান তুলতে সক্ষম হয়। ফাওয়াদ আলম ১১৪, মিসবা উল হক ৬৫ ও উমর আকমল ৫৯ রান করেন। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন লাসিথ মালিঙ্গা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৬.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬১ রান সংগ্রহ করে। ১০১ রান করেন লাহিরু থিরিমানে। ৭৫ রান করেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন সাঈদ আজমল। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে ট্রফি হাতে তোলে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ সেরা হন মালিঙ্গা। সিরিজ সেরা হন শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল (শ্রীলঙ্কা)
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। ততক্ষণে পরাজয়ও অতি সন্নিকটে। শেষ বলে হারিস বোল্ড হলে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৪৭ রানে।