খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নুসরাতকে কারাগারে পাঠানো বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে : এনসিপি
  চলতি মাসেই গার্মেন্টস কর্মীদের বোনাস, জুনের শুরুতে দিতে হবে বেতন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উৎখাত ও পদত্যাগ চাইলো ১৩ গণসংগঠন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে স্বর্ণ লুটে চার পুলিশ জড়িত, আটক ৩

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর দ্রুতগতির উড়াল সড়কে (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) আট মাস আগে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৭০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য জড়িত বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তাদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারা হলেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন সরকার, কনস্টেবল মিজানুর রহমান ও আবু বকর। এছাড়া লুটের কাজে ব্যবহার করা মাইক্রোবাসের চালক আব্দুস সালামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন কারাগারে আছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা জোনের এসআই মো. ইরফান খান জানান, ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার তথ্য পর্যালোচনা ও দীর্ঘ তদন্ত করে এই আলোচিত ডাকাতির ঘটনার রহস্য বের করা সম্ভব হয়েছে। মামলার নথি, বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তার এক আত্মীয়ের বিয়েতে পুরান ঢাকার বংশালে যাওয়ার কথা ছিল।

এ কারণে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সাইফুল তার খালা সাজিয়া সুলতানা ও খালাতো বোন জিনাত সুলতানাকে নিয়ে উড়োজাহাজে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর তিনি পুরান ঢাকায় যাওয়ার জন্য উবারে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেন।

প্রাইভেট কারটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে মগবাজারের দিকে রওনা হয়। টোল প্লাজা পার হওয়ার পরপরই সাইফুলকে বহনকারী প্রাইভেট কারের সামনে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস এসে থামে। গাড়ি থেকে চার জন লোক নেমে প্রাইভেট কারের ভেতরে বসে থাকা সাইফুল ইসলামসহ অন্যদের কাছে নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন। মুহূর্তের মধ্যে তারা সাইফুলের হাতে হাতকড়া পরিয়ে সবাইকে ঐ কালো রঙের মাইক্রোবাসটিতে তুলে নেন।

মাইক্রোবাসের জানালার গ্লাস কালো রঙের ছিল, যেন বাইরে থেকে গাড়ির ভেতরের কিছু দেখা না যায়। ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম জানান, গাড়ির ভেতরে তোলার পর তাদের মারধর করে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়। তাদের কাছে মাদক থাকার কথা বলে মামলা ও গুলি করে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এরপর তাদের ৩০০ ফুট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!