খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
  খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী নিহত
  খুলনার রূপসায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে বোমা, অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক
  নড়াইলের তুলারামপুরে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  চট্টগ্রামে জুস কারখানায় আগুন, এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ এনেছে ফায়ার সার্ভিস

এরশাদ শিকদার আমার চাকরিজীবনের আশীর্বাদ

এ এম কামরুল ইসলাম

আমি তখন মোংলা থানার ওসি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্বনামধন্য কমিশনার জনাব আনোয়ারুল ইকবাল সাহেবের একক নেতৃত্বে খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার পুলিশের হাতে সবেমাত্র আটক হয়েছিল। সারাদেশে এই ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন খবরের কাগজ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবরের প্রধান শিরোনাম হয়ে পড়ে এরশাদ শিকদারের কাহিনী। এরশাদ শিকদার পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরও কয়েকদিন গোপন রেখে মাননীয় পুলিশ কমিশনার একান্তভাবে এরশাদ শিকদারকে তাঁর আস্থায় নিয়ে সকল তথ্য রেকর্ড করতেন। এসব তথ্যের মধ্যে মূল আকর্ষণ ছিল এরশাদ শিকদারের জীবনের উত্থান ও তার এই উত্থানের পিছনে রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের সম্পৃক্ততা। এরশাদ শিকদারের দেওয়া সকল তথ্য পুলিশ কমিশনার মহোদয় গোপন রাখতেন। তবুও মিডিয়ার কৌশলে কিছু কিছু তথ্য প্রতিদিন বের হয়ে যেতো। তাই রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের সদস্যরা আতংকে থাকতো। কখন, কার বিরুদ্ধে কী সংবাদ প্রচার হয় তাই নিয়ে সংশ্লিষ্টদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসকল পুলিশের সদস্য খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় চাকরি করেছেন বা তখনো করছিলেন তাদের প্রায় প্রতিটি সদস্যের সাথে এরশাদ শিকদারের সম্পৃক্ততার পুরা ফিরিস্তি পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের ডায়েরিতে সংরক্ষণ করতেন। এই ঘটনা বিভিন্নভাবে পুলিশের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়ায় আতংক আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে পুলিশ কমিশনার জনাব আনোয়ারুল ইকবাল সাহেবের মতো সৎ ও দক্ষ অফিসারের ভয়ে সমগ্র পুলিশ বিভাগ থরথর করে কাঁপতো। তিনি অহেতুক কোন পুলিশ সদস্যের ক্ষতি করতেন না। তবে দোষীদের কখনো ক্ষমা করতেন না। তাঁর কলমে অনেক দোষী পুলিশ সদস্যের চাকরি চলে গেছে এবং নিরপরাধ সদস্য তাঁর কলমে উপকৃত হয়েছে।

আমি মোংলা থানার ওসি হিসেবে একটা বিশেষ সুবিধা পেতাম। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। মোংলা পোর্ট এলাকায় খুলনার নম্বর দিয়ে মাত্র দুটো সরাসরি ফোন ছিল। তার একটা ছিল থানায়। সুতরাং খুলনার সাথে সরাসরি আমার যোগাযোগ ছিল।

এরশাদ শিকদার পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের গোপন হেফাজতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন আমার ফোন বেজে উঠলো। আমি ফোন ধরতেই ওপার থেকে ভারী কণ্ঠে বললেন-
আমি খুলনার পুলিশ কমিশনার বলছি। আপনি কি ওসি কামরুল ইসলাম?
-জী স্যার।
-আপনি কখনো খুলনা সদর ও খালিশপুর থানার ওসি ছিলেন?
-জী স্যার।
-আপনি এরশাদ শিকদারকে চিনতেন?
-নাম শুনেছি স্যার।
-আচ্ছা, আপনি খুলনায় এলে আমার সাথে দেখা করে যাবেন।
-জী স্যার।

ফোন রাখার পর আমার পায়ের তলার মাটি ফাঁক হয়ে যেতে লাগলো। এর আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে এরশাদ শিকদারের সখ্যতা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন মুখরোচক খবর দেখতাম। এমন সময় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের ফোন পেলে মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। আমি আকাশ পাতাল ভাবতে লাগলাম। খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় চাকরি করাকালীন সমগ্র সময়ের স্মৃতি মনে করতে থাকলাম। এরশাদ শিকদারের সাথে বা তার কোন লোকজনের সাথে আমার কখনো কোন কথা হয়েছিল কি না তা মনে করার চেষ্টা করতে থাকলাম। কমিশনার মহোদয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারি তা নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলাম।

আমি খালিশপুর থানার ওসি থাকাকালীন এরশাদ শিকদারের প্রতিপক্ষ মোসলেম উদ্দিনের সাথে আমার জানাশোনা ছিল। তার সহায়তায় আমি অনেকগুলো অপরাধী আটক করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরশাদ শিকদারকে আটক করা ও তার হাত থেকে মোসলেম উদ্দিনের লোকজনকে রক্ষা করার জন্য প্রায়ই আমার সাথে যোগাযোগ করতো। আমি কয়েকবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি গোপনে এরশাদ শিকদারের আস্তানার গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। তাকে আটক করতে গেলে কী ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং পুলিশের সদস্যরা কতটা সহায়ক হবে বা গোপনে এরশাদের কাছে তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে তা নিয়ে পরামর্শ করতাম। মোসলেম উদ্দিনের এলাকায় এরশাদ শিকদার যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সেজন্য মোসলেম উদ্দিন আমার সাথে যোগাযোগ রাখতো। মাঝে মাঝে মোসলেম উদ্দিন নিজেই এরশাদের দ্বারা খুন হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করতো। আমিও পুলিশি কায়দায় সুযোগ নিতাম এবং এরশাদ শিকদারকে আইনের আওতায় ফেলে আটক করার সু্যোগ খুঁজতাম। কিন্তু আমার পরিকল্পনার কথা সাথে সাথে ফাঁস হয়ে যেতো। তাই প্রবল আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমি এরশাদ শিকদারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হতাম না। এর মধ্যে অল্প সময়ের ব্যবধানে আমার বদলি হয়ে গেল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমি জাতিসংঘ মিশনে চান্স পেয়ে গেলাম।

জাতিসংঘ মিশনে এক বছর থাকার পর দেশে এলে আমাকে খুলনা সদর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। তখনো আমি এরশাদ শিকদারকে আটক করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলাম। কিন্তু কোনপ্রকারে সফল হতে পারিনি। কারণ এরশাদ শিকদারের হাত ছিল অনেক লম্বা। উপর থেকে নিচে সকল মহলে তার গোপন আঁতাত ছিল। শুধু আমার সাথে এরশাদ শিকদার বা তার কোন সহযোগীদের সাথে কখনো কোন গোপন বা প্রকাশ্য যোগাযোগ ছিল না। অথবা যেকোন কারণে সে আমাকে পছন্দ করতো না বলে আমার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন মনে করতো না। আমিও মনেপ্রাণে তার মতো মানুষের সাথে যোগাযোগ করা অপরাধ বলে মনে করতাম। আমার এই মনোভাব দেখে বেশকিছু সিনিয়র ও জুনিয়র অফিসার আমাকে পাগল বা গোঁয়ার ওসি হিসেবে গণ্য করতো। কিন্তু কোন কথায় কর্ণপাত না করে আমার সিদ্ধান্তে আমি অটল ছিলাম। এমনকি অনেকে আমাকে বলেছিলেন, এরশাদ শিকদারের গায় হাত দিতে গেলে বিপদের সমূহ সম্ভাবনা আছে। তার চেয়ে সবার মতো হাত মিলিয়ে চলাই উত্তম। তারপরও আমি কখনো আঁতাত করার কথা কল্পনা করিনি। খুলনা সদর ও খালিশপুর থানায় আমার দায়িত্বকালিন আমার সিদ্ধান্তে কখনো চিড় ধরেনি।

এতকিছুর পরেও পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের ফোন আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। কারণ এর আগে আমি আনোয়ারুল ইকবাল সাহেবের নাম শুনেছি। তাঁর ভয়ে সমগ্র পুলিশ ডিপার্টমেন্ট আতংকিত থাকতো। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না।

কয়েকদিন পর আমি একদিন ভয়ে ভয়ে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের অফিসে হাজির হলাম। অফিস আর্দালির কাছে সাক্ষাতের অনুমতি চাওয়ামাত্র আমাকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। তাতে আমি আরো বেশি ঘাবড়ে গেলাম। আমার পা ভারী হয়ে গেল। গলা শুকিয়ে এলো। কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারি বা চাকরি বাঁচিয়ে ফিরতে পারবো কি না তাই ভাবতে ভাবতে ভিতরে প্রবেশ করলাম। কমিশনার মহোদয় আমাকে দেখে মুচকি হেসে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলেন এবং বসতে বললেন। আমি বসার সাহস পাচ্ছিলাম না। তিনি আবারো আমাকে বসার নির্দেশ দিলেন। আমি একপ্রকার কাঠ হয়ে বসলাম।

কমিশনার মহোদয় এরশাদ শিকদারের দীর্ঘ বক্তব্যে একটি তালিকা আমার সামনে দিয়ে বললেন,
এই তালিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও খুলনা জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের অফিসারের নাম আছে। কোন্ কোন্ অফিসার এরশাদ শিকদারের কাছ থেকে সুবিধা নিতেন তা এরশাদ শিকদার নিজের মুখে স্বীকার করেছে। আমি তাদের তালিকা তৈরি করেছি এবং তার বক্তব্য অডিও রেকর্ড করেছি। এরশাদ শিকদার তার বক্তব্যে এক জায়গায় আপনার নাম উল্লেখ করেছে। তার বক্তব্য শুনানোর জন্য আপনাকে ডেকেছি। আপনি শুনতে চান?

আমি কী বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবুও ভয়ে ভয়ে বললাম, স্যার, আমি কখনো এরশাদ শিকদার বা তার কোন সহযোগীর সাথে কথা বলিনি বা তাদের কোন কাজে সহযোগিতা করেছি বলে আমার মনে পড়ে না। যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলে থাকে, তাহলে সেটা সত্যি না।

-আপনাকে এজন্যই ডেকেছি। এরশাদ শিকদার নিজের মুখে আপনার নাম করে বলেছে- সে কখনোই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেনি বা আপনাকে কখনো এক টাকাও দেয়নি। আপনি নাকি তাকে পেলে গুলি করতে চাইতেন। আপনার বাড়ি নাকি ডুমুরিয়াতে। সে আপনার বংশের পরিচয়সহ আপনার সকল আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে খবর নিয়েছে। অতএব আপনি নিশ্চিত থাকেন যে, আপনাকে ভাল জেনেই আমি ডেকেছি। আপনার মতো অফিসার আমার দরকার। আপনি চাইলে আপনাকে আমার কাছে পোস্টিং করিয়ে আনতে চাই। আপাততঃ এরশাদের কিছু সহযোগীদের ধরার জন্য আমাকে সাহায্য করেন। মোংলা থানার মিঠেখালি ও সুন্দরবন ইউনিয়নে এরশাদের লোকজন পালিয়ে আছে। তাদেরকে ধরে দিলে ভাল হবে। অবশ্যই সবকিছু গোপন রাখবেন।

আমি এবার স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে চেষ্টা করলাম। কমিশনার মহোদয় আমাকে চা অফার করলেন। ইতিমধ্যে আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। তাই চা পেয়ে সেই শুকনা গলা ভিজিয়ে নিলাম।

চায়ের পর্ব শেষ করে কমিশনার মহোদয় আমাকে আর একটা দায়িত্ব দিলেন। তিনি বললেন- আমার দুই মেয়ে সুন্দরবন দেখতে চায়। আপনার আপত্তি না থাকলে আমি তাদেরকে আপনার কাছে পাঠাবো। তাদেরকে পারলে একটু সুন্দরবন দেখিয়ে দিবেন।

-জী স্যার। আমি ব্যবস্থা করবো।

সেদিন থেকে জনাব আনোয়ারুল ইকবাল সাহেব আমাকে মন থেকে ভালবাসতেন। তিনি এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশের আইজিপি ও তত্ত্বাবোধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালীন আমাকে একই দৃষ্টিতে দেখতেন। এতবড় একজন মানুষ হয়েও তিনি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো আদর করতেন। তার সহধর্মীনি ও সন্তানেরা আমাকে পারিবারিক সদস্য হিসেবে মনে করেন। তাঁর মৃত্যুর পরেও আমাদের সেই সম্পর্ক অটুট আছে। তাঁর বদান্যতায় আমাদের এলাকায় একটি চারতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, আমার গ্রামের ক্লাবসহ নানাবিধ উন্নয়ন হয়েছিল। তিনি বহুবার আমাদের এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। আমার বড় ভাই জনাব হারুনার রশিদের পরিবারের সাথে একাত্মা হয়ে চলেছেন। ওয়াসেক আলী শিক্ষা প্রকল্প অর্থাৎ সোনামুখ পরিবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহুবার যোগদান করেছেন। আমার গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি হয়েছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি, ঢাকার বাড়িসহ ব্যক্তিগত সকল কাজে আমার উপর দায়িত্ব অর্পণ করে নিশ্চিন্তে থেকেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আমাদের এলাকার অনেক গরীব মেধাবী ছেলেমেয়ে আর্থিক সাহায্য পেয়ে লেখাপড়া শিখছে এবং এই সহযোগিতা এখনো চলমান আছে। আল্লাহ এই মহান মানুষটিকে বেহেশত নসীব করুক।

তিনি কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তবুও তিনি যদি এই জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের সময় পুলিশের চাকরিতে থাকতেন তাহলে তাঁর কপালে কী হতে পারতো? তিনি কি কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের উপযুক্ত বিচারের জন্য প্রশংসিত হতেন, নাকি পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে গড়পড়তা বিচারের সম্মুখীন হতেন?

কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের কারণে আমার মতো একজন নগন্য পুলিশ সদস্য জনাব আনোয়ারুল ইকবাল সাহেবের মতো মানুষের মনে স্থান পেয়েছিল একথা স্বীকার করতে আজ আমার কোন দ্বিধা নেই । অনেক সময় খারাপের মধ্যেও ভাল কিছুর সৃষ্টি হয়। আবার ভাল কিছুর মধ্যেও খারাপ কিছু বয়ে আনে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!