খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, এম এ বারী ছিলেন একজন সৎ, সাহসী ও কর্মী বান্ধব রাজনৈতিক নেতা। দেশের ক্রান্তি কালে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে খুলনায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি কখনও স্বৈরশাসকদের রক্ত চক্ষুকে ভয় পেয়ে রাজনীতি করেন নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তিনি খুলনার মানুষকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ তীল তীল করে শক্তি অর্জন করে আজ মহিরুহের মত রূপ ধারণ করেছে। তিনি আরো বলেন, এম এ বারী এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে রাজনীতি করেছেন। তিনি চাইলে অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তাঁর ত্যাগ আর সততা জন্য কখনও সেদিকে নজর দেন নি। তিনি কর্মীদের বিপদ আপদে সবসময় তাদের পাশে থাকতেন। কর্মীবান্ধব এই নেতার আদর্শিক কার্যক্রমকে আজকে আমাদের অনুসরণ করা প্রয়োজন। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়ন সময়ের আগেই সম্পন্ন হবে, ইনশাল্লাহ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহচর, সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. বারী‘র ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, মো. শাহাজাদা, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিরল মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, মোতালেব হোসেন, বিএম জাফর, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মীর বরকত আলী, এস এম নাসিম, রনজিত কুমার ঘোষ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. এনামুল কবীর, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফায়েজুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সিহাব উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক হোসেন, মল্লিক নওশের আলী, নূরিনা রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, রেজওয়ানা প্রধান, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, মো. শহীদুল হাসান, বিপ্লব সাহা লব, আকরাম সরদার, জিলহজ্ব হাওলাদার, ছাত্রনেতা ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, বায়েজীদ সীনা, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।