নিউজিল্যান্ডে ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমবারের মতো সে দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোন ম্যাচ জয়ের সঙ্গে এসেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত টেস্ট জয়। কিউইদের বিপক্ষে ওদের ঘরের মাঠে টানা ৩২ ম্যাচ হারের পর এই জয়ের দ্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের পর এবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল রোববার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে টাইগাররা। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তেমনটি জানালেন দলের হেড কোচ রাসের ডমিঙ্গো, ‘আগের সংবাদ সম্মেলনেই বলেছি, এটা অনেক তরুণ একটা দল। অভিজ্ঞ কয়েকজন আসেনি যারা আগে নিউজিল্যান্ডে খেলেছে। এই তরুণরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে চায়। তারা অনেক উদ্যমী। নিউজিল্যান্ডে আগে বাংলাদেশের কোনো দলই সিরিজ জিততে পারেনি। তারা এখন এটার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।’
সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘দারুণ কিছু দিন গেল। ছেলেরা খুব উপভোগ করেছে, কারণ অতীতে নিউজিল্যান্ডে তাদের দুঃসময় গেছে আর নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দল, তাদেরকে হারাতে হলে অনেক ভালো খেলতে হয়। সব ফরম্যাটেই কঠিন কিছু সময় পার করেছি আমরা। এই ফলাফল ছেলেদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক পরিশ্রম করেছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। তাদের কৃতিত্ব না দিয়ে উপায় নেই।’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ৩ পেসার খেলিয়ে সফল লালস-বুজের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে টস ভাগ্য নিজেদের পক্ষে আসায় বাংলাদেশ দলের কাজটি খানিক সহজ হয়ে যায়। ক্রাইস্টচার্চের উইকেট পেসারদের স্বর্গ, যেখান আউটফিল্ড থেকে মূল উইকেট আলাদা করা কষ্টকর। ঘাসের উইকেটের ফায়দা নিতে এ ম্যাচেও টসের দিকে তাকিয়ে ডমিঙ্গো।
উইকেট প্রসঙ্গে ডমিঙ্গো বললেন, ‘আমি এখনও পিচ দেখিনি। ডানেডিন, ওয়েলিংটন ও হ্যামিল্টনে গেলেও ক্রাইস্টচার্চে কোনো টেস্টের জন্য আমার আসাও হয়নি আগে। এই উইকেটে পেসাররা অনেক বেশি সুবিধা পায়। এটাও আমাদের সুবিধা দিবে। আমাদের কয়েকজন মানসম্পন্ন পেসার আছে। খুব কম সময়ই বাংলাদেশ ঘাসের উইকেটে সুবিধা নেওয়ার কথা ভাবতে পারে। আমাদের তিন পেসার অনেক উঁচু মানের, তারা আত্মবিশ্বাসী। শুরুতে বোলিং করতে পারলে আশা করি তাদের ঘায়েল করতে পারব।’