ক্যাসিনো সম্রাট, পাপিয়া, জিকে শামীম, সরকারি বরাদ্দকৃত চাল চুরিকান্ড, করোনা’র ভূয়া সনদদাতা ডাঃ সাবরিনার পরপরই এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহেদ ঝড় বইছে। প্রতারক আইডল সাহেদের রকমারি ছবিসহ নানাজনের নানান মন্তব্যের মধ্যেও ফুটে উঠছে প্রতারক সাহেদ বিরোধী প্রতিবাদ ও স্বদেশপ্রেম।
খুলনা জেলা আ’লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ খান জবা ফেসবুকে লিখেছেন, “সেলফিবাজরা সাবধান। সেলফিবাজদের থেকেও সাধু সাবধান। শুভ সকাল …”
খুবি’র কর্মকর্তা মোস্তফা আল মামুন প্রবাল সাহেদের গ্রেফতারের একাধিক ছবিসহ লিখেছেন, “ফোরটোয়েন্টি সাতক্ষীরা সীমান্তে ধরা”।
নাজমুন নাহার মিষ্টি লিখেছেন, “যারা দেশ-বিদেশের মাটিতে নিজের দেশ ও মানুষকে এমন হুমকির সম্মুখীন ফেলে দেয়, তাদের বেছে বেছে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক।”
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মেহেদী হাসান রাসেল লিখেছেন, “অবশেষে মামু গ্রেফতার। সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে নদী পথে বোরকা পরে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় গ্রেফতার। ধন্যবাদ র্যাবকে।” আরেক পোষ্টে তিনি লিখেছেন, “পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাপটার ও রাষ্ট্রখেকো নরপশু সাহেদ সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে গ্রেফতার। সে নৌকার ছদ্মবেশ ধরে পালিয়ে ছিলেন।…”
ঢাকার সিনিয়র সাংবাদিক ফারজানা রূপা লিখেছেন, “শুরু হলো দিন! রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ গ্রেফতার; সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ…”
বিএফইউজে’র মহাসচিব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ লিখলেন, “অবশেষে কট। হেলিকপ্টারে ঢাকার পথে।” কিচ্ছুক্ষণ পরে তিনি ফের লিখেছেন, “প্রতারক সাহেদ সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পালানোর সময়ও নৌকাকে ব্যবহার করেছে। কত্তো খারাপ!”
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রুম্মান আহম্মেদ লিখেছেন, “শুভ সকাল। সাহেদ গ্রেফতার। র্যাবের বিশেষ অভিযানে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তিনি গ্রেফতার হন।”
উন্নয়নকর্মী মনির জমাদ্দার নিজ ফেসবুকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন এভাবে, “শেষে সাতক্ষীরার পথ বেছে নিয়েছিল। শুনলাম বোরখা পরেই নাকি পালাতে চেয়েছিল। সাতক্ষীরার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার আশায় ছাই ঢেলে ছিকের মধ্যে ঢুকিয়েছে। শালার জ্ঞান পাপী। বোঝ এবার। পাপ ছাড়ে না বাপরে।”
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবদুলাল বাড়ৈ বাপ্পী গ্রেফতার পরবর্তী সাহেদের দু’টি ছবিসহ লিখেছেন, “পালাবি কই মামা?”
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল লিখেছেন, রিজেন্ট গ্রুপের মালিক সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার।
সালমা ইয়াসমিন সালমা লিখেছেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এসব মানুষ নামের অমানুষ সমাজ দেশ ও জাতির জন্য কলঙ্ক।”
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মামুনর রশীদ লিখেছেন, “অবশেষে ধরা খাইলো সাহেদ সাহেব…এভাবে চলবে সাহেদনামা। কালে কালে আরো কত সাহেবকে দেখতে হবে।”
প্রসঙ্গত্ব, আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়। খবরটি জানাজানি হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে ঝড়; আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু প্রতারক সাহেদ।
খুলনা গেজেট/এআইএন