পরিচালনা পর্ষদের একটি পক্ষের চাপে এবার পদত্যাগ করলেন সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মোকাদ্দেস আলীর মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর আগে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান। এ নিয়ে চলতি বছর পদত্যাগ করলেন তিন ব্যাংকের এমডি।
জানা গেছে, ব্যাংকের প্রভাবশালী তিনজন পরিচালকের চাপে হাবিবুর রহমান পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও তিনি পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। তবে তার এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ২০১৩ সালে সাউথ বাংলা ব্যাংকের যাত্রা শুরুর পর কয়েকজন এমডি পদত্যাগ করেছেন।
যাত্রা শুরুর সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এসএম আমজাদ হোসেন। তিনি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান হন থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লা। গত আগস্টে ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা সমস্যার মধ্যে এমডিদের পদত্যাগ ঘটনা ঘটছে। এর আগে গত ৩ নভেম্বর পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন তারেক রিয়াজ খান। গত ২৬ জুলাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ বিল্লাহ আদিল চৌধুরী। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন মো. মেহমুদ হোসেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমাঝোতায় তিনি আবার ন্যাশনাল ব্যাংকে ফেরেন।
চাপের মুখে ব্যাংকের এমডিদের পদত্যাগ ঠেকাতে ২০১৪ সালে একটি সুরক্ষা নীতিমালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, কোনো এমডি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে কিংবা, পরিচালনা পর্ষদ কাউকে বাদ দিতে চাইলে এক মাস আগে নোটিশ দিতে হবে। যার অনুলিপি দিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে সেই নীতিমালা খুব একটা কাজে আসছে না বলে মনে করছেন ব্যাংকারদের অনেকে।
খুলনা গেজেট/এইচ