সমস্যাগ্রস্ত ফারমার্স থেকে রূপান্তরিত পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এ পদে তাঁর দেড় বছর মেয়াদ অবশিষ্ট থাকতেই তিনি সরে দাঁড়ালেন। রোববার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর আর প্রতিষ্ঠানটিতে যাননি তিনি। এ নিয়ে চলতি বছর তিন ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করলেন।
জানা গেছে, তারেক রিয়াজ খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। এরপর থেকে আর ব্যাংকে যাচ্ছেন না। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, নাকি কোনো পক্ষের চাপের মুখে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তা জানা যায়নি। এর আগে ২০১৩ সালে ফারমার্স নামে যাত্রা শুরুর সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
গত বছরের মার্চে তারেক রিয়াজ খান তিন বছরের জন্য পদ্মা ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পান। সেখানে যোগদানের আগে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ডিএমডি ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ছিলেন। পদ্মা ব্যাংকে এমডি হিসেবে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ ছিল। পদত্যাগের কারণ জানতে তাঁকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুরবস্থা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে। এর মধ্যেই গত ২৬ জুলাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও এমডি আরিফ বিল্লাহ আদিল চৌধুরী। তিন বছরের জন্য গত বছরের নভেম্বরে ওই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন মেহমুদ হোসেন। এর দু’দিন আগে রাজধানীর বনানীর সিকদার হাউজে তাঁকে ডেকে নেওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে সমালোচনা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমঝোতায় তিনি আবার ন্যাশনাল ব্যাংকে ফেরেন।
চাপের মুখে ব্যাংকের এমডিদের পদত্যাগ ঠেকাতে বেশ আগে একটি সুরক্ষা নীতিমালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই নীতিমালা কাজে আসছে না। এমডিরা পদত্যাগের পর সুরক্ষা চাওয়া তো দূরে থাক, অধিকাংশই ভয়ে আর মুখই খোলেন না।
খুলনা গেজেট/এইচ