কিয়েভ অথবা অন্য পক্ষের উসকানির আশঙ্কায় ইউক্রেনে নিযুক্ত কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। প্রতিবেশি ইউক্রেনে রাশিয়া যেকোনও মুহূর্তে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে বিশ্বজুড়ে তীব্র উদ্বেগের মাঝে ক্রেমলিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিয়েভের শাসক অথবা অন্যান্য দেশগুলোর সম্ভাব্য উসকানির আশঙ্কায় আমরা ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ মিশনের কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মিশন থেকে কর্মীর সংখ্যা হ্রাসের অর্থ কী সে বিষয়ে কিছু বলেননি মারিয়া জাখারোভা। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে নিযুক্ত দূতাবাস এবং সব কনস্যুলেট তাদের প্রধান কাজ চালিয়ে যাবে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সৈন্য সমাবেশ এবং সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ বলেছে, ইউক্রেনে যেকোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। যদিও রাশিয়া এই ধরনের পরিকল্পনার তথ্য অস্বীকার করেছে।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর রূপ নিতে থাকায় ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
তিনি বলেছেন, ‘ঠিক কোনদিন এবং কখন হামলা হবে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের হাতে কোনো তথ্য নেই, তবে হামলা যে ঘটবে— তার সম্ভাবনা অতি স্পষ্ট এবং আমাদের ধারণা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কিয়েভে হামলা করার পরিকল্পনা করছে মস্কো।’
অন্যদিকে, রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনায় নিজ নাগরিকদের তাৎক্ষিণভাবে ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, লাটভিয়াসহ কয়েকটি দেশ। এছাড়া জরুরি কাজে নিয়োজিত নন— এমন কর্মীদের ইউক্রেনে নিযুক্ত কূটনৈতিক মিশন ছাড়তে বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
খুলনা গেজেট/ এস আই