বাংলাদেশের দেয়া ৩৩৯ রানের জবাবে শুরুটা মন্দ হয়নি আয়ারল্যান্ডের। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করলেও পরে কিছুটা আক্রমণাত্মক হন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। ১২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাকিবের ঘূর্ণিতে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। আগের ওভারে টানা দুই চার মারা স্টিফেন ডাহনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে সাকিবের শিকার হন তিনি।
সাকিবের পর সাফল্য পান এবাদত। এই পেসারের শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন স্টার্লিং। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। বাঁ দিকে শূন্যে ভেসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। এরপর টেক্টরকে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন এবাদত।
তাসকিনের আরেকটি ওভার, আয়ারল্যান্ডের আরেকটি উইকেট। এবার গেলেন লরকান টাকার। সোজা ব্যাট চালানোর বদলে আড়াআড়ি খেলতে চেয়েছিলেন লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলটা, ক্যাচ গেছে একমাত্র স্লিপে থাকা ইয়াসির আলীর কাছে। ডানদিকে লাফিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ১৬ রানের মধ্যে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড, ১৮তম ওভারেই ফিরে গেছেন অর্ধেক ব্যাটসম্যান। আর ১০০ পেরোনোর কিছুক্ষণ পরই নাসুমের বলে ফিরলেন ক্যাম্ফার, আয়ারল্যান্ড হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৩)।
আরও পড়ুন : দুর্দান্ত শুরু করা আইরিশ শিবিরে সাকিব-এবাদতের ধাক্কা
আরেক ওপেনার লিটন দাস উইকেটে সেট হয়ে ফিরেন ২৬ রানে। ৩৪ বলে ২৫ রান করা শান্ত ম্যাকব্রেইনের বলে বোল্ড হলে ৮১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরের গল্পটা সাকিব আর অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ের। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি।
৬৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। এরপর মারকুটে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও থামতে হয় তাকে। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের ৮৯ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৯৩ রানের ইনিংস থামে গ্রাহাম হুমের করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে। এদিকে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকে ফিফটি তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়। তিনিও মিস করেন সেঞ্চুরি।
আরও পড়ুন : সাকিব-হৃদয়ের ব্যাটে রেকর্ড সংগ্রহ বাংলাদেশের
গ্রাহাম হুমের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় তার ৮৫ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস। ছয়ে নেমে মুশফিকও ২৬ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের কার্যকর ইনিংস উপহার দেন।
খুলনা গেজেট/এমএম