খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

মোংলায় ভিআইপি ব্যাগ কারখানায় আগুনে দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ও মংলা প্রতিনিধি

১৭ ঘন্টায়ও নেভেনি বাগেরহাটের মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)‘র ভিআইপি- ব্যাগ-১ নং কারখানার আগুন। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায়ও ফ্যাক্টরীর মধ্যে আাগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোথাও ছড়িয়ে পড়া এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে ফ্যাক্টরীর মধ্যে থাকা শ্রমিক ও কর্মচারীরা আগুন দেখেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছিল। এছাড়া ইপিজেড এলাকার অন্যান্য ফ্যাক্টরী ও প্রতিষ্ঠানের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে আগুনের ঘটনায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন ফ্যাক্টরীর সহকারি ব্যবস্থাপক আশীস কুমার কর্মকার।

সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ফাক্টরীর কাঁচামাল ও মেশিনারিজ পুড়ে একশ পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সহকারি ব্যবস্থাপক আশীস কুমার কর্মকার বলেন, ফ্যাক্টরীতে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির ফেব্রিক্স, ট্রলি, হুইল, ফোম, সুতা সব পুড়ে গেছে। মেশিনারিজও শেষ হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ফাক্টরীর শতভাগ পন্য বিদেশে রপ্তানি হত।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক মোঃ গোলাম সরোয়ার বলেন, এখনও আগুন জ্বলছে। তবে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুন সম্পূর্নরুপে নেভানোর জন্য ফায়ার ফাইটাররা কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় মোংলা ইপিজেডে থাকা ভিআইপি ইন্ডাষ্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভিআইপি-১ ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যাক্রমে খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে পলেস্টার টাইপের ফেব্রিক্স, ফোম ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েড়ন ফায়ার ফাইটাররা।

এদিকে সাড়ে ১৭ ঘন্টা পার হলেও, আগুন লাগার কারণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তবে ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষের দাবি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের কারণ জানতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

এদিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, কারখানায় ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। এসময় আগুনের ফুলকি এসে পড়ে ফোমের ওপর। সাথে সাথে কক্ষটি ধোয়ায় আচ্ছন হয়ে পড়ে এবং আগুন লেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

খুলনা গেজেট/ বি এম এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!