খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

একাত্তরের ১৫ আগস্টে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতিহাসের কালো অধ্যয় ২৫ মার্চ ’১৯৭১। মধ্য রাতে অভিযান চলে ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতে। পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা মেজর বেলালের নেতৃত্বে কমান্ডোবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দি টাইমস পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতার স্থপতি বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁকে সংসদ ভবনে নেয়া হয়। তারপর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আদমজী পাবলিক স্কুলে, তারপর জেনারেল টেক্কাখানের বাসায় নেয়া হয়। ১ এপ্রিল বিশেষ বিমানে করে প্রথমে করাচী, পরে রাওয়ালপিন্ডিতে নেয়া হয়। পরবর্তী ৮ মাসের ঠিকানা হয় পাকিস্তানের লায়ালপুর কারাগারে।

লন্ডনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ১৫ আগস্ট ’৭১ সংখ্যায় বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবকে কারাগারে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবকে সর্বোচ্চ শ্রেণির কারাগারে রাখা হয়েছে। বিছানা, পাখা ও গরম পানিসহ তার সব ধরণের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

কারাবন্দী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নজরদারীর জন্য ইয়াহিয়া খান সরকার কয়েদী হিসাবে ছদ্মবেশে তাঁর পাশের কক্ষে একজন তরুণ পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি অবাঙালি, নাম রাজা আনার খান। কিন্তু এর ফলাফল হল বিপরীত। এ পুলিশ কর্মকর্তা পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা করতেন এবং বাবা বলে ডাকতেন। পুলিশ সুপার হিসেবে রাজা আনার খান অবসর নিয়েছেন। একাত্তরের ১৫ আগস্ট দিনের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ওজন ২০০ পাউন্ড থেকে হ্রাস পায়নি। তার রক্তচাপ ছিল স্বাভাবিক।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনে এ পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের কারাগারে শেখ মুজিবের বন্দী জীবনের পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেন। আওয়ামীলীগ নেতা পাকিস্তানী বাবুর্চির রান্না খাবার পছন্দ করতেন না, তাই তাঁকে বাঙালী বাবুর্চি দেয়া হয়। তাঁর জন্য কোন সংবাদপত্র ও রেডিও দেয়া হয়নি। তিনি সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তিনি জানতে পারেননি নয় মাসে পূর্বপাকিস্তানের গণহত্যা চলছে। জানতে পারেননি ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছে। জানতে পারেননি বাঙালি জাতি স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে তাঁর বিচার কার্য শুরু হয়। তিন ডিসেম্বর শেষ হয়। লাহোর থেকে ৮০ কিলোমিটার দুরে লায়ালপুর কারাগারে বিশেষ সামরিক আদালত স্থাপন করা হয় তাঁর বিচারের জন্য।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!