যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে একমাস। কয়েকবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে এ জেলা। সেই শহরে সোমবার(৬মে) বিকেলে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টি। ঠান্ডা বাতাসে প্রাণ জুড়াতে রাস্তায় বেরিয়ে আসে গরমে অতিষ্ঠ শ’শ’ মানুষ। এ বৃষ্টিতে ভিজে তারা উল্লাস প্রকাশ করেছে। যদিও আগে থেকেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর শুরু হয় বৃষ্টি। একইসাথে বয়ে যায় কালবৈশখী ঝড়। থেমে থেমে এ বৃষ্টি চলে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত। কিন্তু তাতেও তৃপ্ত হননি গরমে অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের মানুষ। একমাস ধরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট মানুষ কাঙ্খিত এ বৃষ্টিতে খানিকটা তৃপ্ত হয়, রাস্তায় নেমে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। আগামী কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোরে সোমবার বিকেল ৫ টা ২৬ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এক মিলিমিটারেরও কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার।
রোববার বিকেল থেকে যশোরের আকাশে মেঘের দেখা মিললেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের উপস্থিতি ও তাপ ছিল আগের দিনগুলোর মতোই। সোমবার দুপুরের পর থেকে সূর্যের তেজ কমে মেঘের দেখা মেলে। অন্যদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। অবশেষে বিকেলে ঝড়ো শীতল হাওয়া বইতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়। ঝড়ো বাতাসে পথঘাট ধুলিময় হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে যশোরাঞ্চলের জনজীবনে স্বস্তি এসেছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সোমবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যশোরসহ খুলনা বিভাগের কিছু জায়গাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে মঙ্গলবারও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে