সপ্তাহব্যাপী করোনা টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের বিশেষ কর্মসূচিতে মোট এক কোটি সাত লাখ ৭৫ হাজার ৫৮২ জন এ টিকা গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি মানুষকে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া। গত শুক্রবার এই বিশেষ কর্মসূচি শেষ হয়।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিশেষ ওই কর্মসূচি শেষ হলেও বিদ্যমান সব টিকা কেন্দ্রেই করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া চালু থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে দেশে গত ১০ জুন পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫০ জন, আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে দুই কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ১৭ জন।
এরা সবাই অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও ফাইজারের টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বুস্টার ডোজ নেয়নি বা নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৩ জন।
গত ৪ জুন থেকে শুরু হয় করোনা টিকার বুস্টার ডোজের এক সপ্তাহের বিশেষ কর্মসূচি। শেষ হয় গত ১০ জুন। এ সময়ের মধ্যে গত ৭ জুন সর্বোচ্চ ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৬ জন বুস্টার ডোজ নেয়। এই বিশেষ কর্মসূচি ছিল ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব সবার জন্য।
ইপিআই পরিচালক ডা. শামসুল হক গত বলেন, ‘আমরা ওই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। যারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর এখনো বুস্টার ডোজ নেয়নি বা নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, তারা বিদ্যমান টিকাকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে এ টিকা নিতে পারবে। সাধারণ টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। করোনা প্রতিরোধে টিকা একটি কার্যকর সমাধান। করোনার টিকার পূর্ণ সুফল পেতে হলে অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই