এক মাসের ব্যবধানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। একই সময়ে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে দিনে রেকর্ডেড মৃত্যুর সংখ্যা । নানা রকম উপসর্গে মারা যাচ্ছে আরও অনেকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার অতি উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ৫৭ টি জেলা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আগামীকাল ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে।
গত ৩১ মে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৭৮টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এক মাসের ব্যবধানে ৩০ জুন দেশে করোনা শনাক্তের এই হার বেড়েছে আড়াইগুণের বেশি। আজ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের এই হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ২৬২টি।
এই এক মাসে দেশে করোনা সংক্রমণের সাথে সাথে মৃত্যুও বেড়েছে সমানভাবে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১১৫ জন। ৩১ মে’তে এই সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। এসময় সরকারি হিসেব অনুযায়ী মারা গেছে এক হাজার ৮৮৪ জন।
এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনের। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে খুলনা বিভাগ। সীমান্তবর্তী এই বিভাগের ১০ জেলায় মারা গেছে ৩০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৩, রাজশাহীতে ২৩, ঢাকায় ১৭, রংপুরে ১১, ময়মনসিংহে ৬, সিলেটে ৩ এবং বরিশালে ২ জন মারা গেছে।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী। এদের মধ্যে ৯ জন বাসায় এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৩২৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ১৭৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই