ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রথমদিকে আছেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। ফুটবলের কিংবদন্তি তিনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার চিরবিদায়ে কাতর ফুটবল বিশ্ব।
ফুটবলের ঈশ্বর বলা হয় তাকে। ৬০ বছরেই চলে যাওয়া কিংবদন্তির সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হলো:
১. বুয়েন্স আয়ার্সে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম দিয়াগো ম্যারাডোনার। আর্জেন্টাইন জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন তিনি। দেশের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন।
২.১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্সকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন ম্যারাডোনা। এরপর চলে যান বার্সেলোনায়। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে ইতালির ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন দিয়াগো। ১৯৮৭ ও ১৯৯০ সালে নাপোলির হয়ে সিরি আ’ জিতেছেন তিনি। জিতেছেন উয়েফা কাপও।
৩. দেশের জার্সিতে রেকর্ড ১৬ ম্যাচে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যারাডোনা। সবমিলিয়ে বিশ্ব আসরে খেলেছেন ২১ ম্যাচ। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে মাত্র ১৫ বছরে বয়সে ১৯৭৬ সালে অভিষেক তার। এক বছর পরে আলবেসেলেস্তেদের জার্সি গায়ে চাপান তিনি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে তাকে দলে নেওয়া হয়নি বেশি ছোট বলে!
৪. তার হাতে চে গুয়েভারা এবং পায়ে ফিদেল কাস্ত্রোর ট্যাটু ছিল। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালি তাকে এক ম্যাচে ২৩ বার ফাউল করে। যা বিশ্ব রেকর্ড। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে তাকে রেকর্ড ৫৩ বার ফাউল করা হয়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পারেন তিনি।
৫. ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দায়িত্বে নেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর হয়নি। আর্জেন্টিনার ৫ম সর্বোচ্চ গোলদাতা দিয়াগো। ক্লাব ক্যারিয়ারে দু’বার সর্বোচ্চ দামি ফুটবলারর হওয়ার রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
৬. ম্যারাডোনা এবং মেসি ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ এবং বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন। ২০০০ সালে তার অটোবায়োগ্রাফি ‘ও সোই এল দিয়াগো’ প্রকাশিত হয়।
খুলনা গেজেট /এমএম