আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এসব পণ্য কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরধ্যে এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৪ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ছোলা এবং ১৯ হাজার ৫০০ টন মসুর ডাল ক্রয়ের চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রাথমিক মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৬ টাকা।
সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিনিসের দাম যাতে সহনীয় থাকে, সে জন্য আজকে যেসব আইটেমের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নিজস্ব উৎপাদন কম হলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার যে জিনিসগুলো আমদানি করি, যেগুলো আমাদের হাতের বাইরে, সেগুলো অনেক প্যারামিটারের কারণে দাম বেড়ে যায়। তখনও ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, এখন যুদ্ধ যেটা হচ্ছে, সেটাও মূল্য বৃদ্ধির একটা কারণ। এলসি প্রাইস, পরিবহন খরচ- এগুলো বেড়ে যায়। যারা আমদানি করেন তারাও সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, সে কারণে আরও বেশি দাম বাড়ে।
এদিকে বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিসিবি কর্তৃক সেনা ভোজ্যতেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইন্ড লিমিটেড, মেঘনা ভোজ্যতেল শোধনাগার লিমিটেড, সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে মোট এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। মোট ২৮৭ কোটি ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৬ টাকায় এটি সরাসরি ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া টিসিবি কর্তৃক মেঘনা সুগার রিফাইন্ড লিমিটেড ও সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনা হবে। সর্বমোট ১১০ কোটি ৬০ লাখ টাকায় এসব চিনি সরাসরি ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ