ক্লান্তি-অবসাদ কাটাতে অনেকেই হাতে তুলে নেন চায়ের কাপ। আড্ডা জমাতেও এর বিকল্প নেই। চা ছাড়া সকাল-বিকেল যে বিবর্ণ মনে হয়- এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের ভেতর এমন ধরনের উপাদান রয়েছে যা মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। ফলে যাদের চায়ের অভ্যাস আছে, তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত বিষণ্ণতা-ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠতে পারে।
দুধ চা, রং চা ছাড়াও আরো হরেক রকম চায়ের প্রচলন রয়েছে পৃথিবীতে। বাংলাদেশের গলির মোড়েও পাঁচ-সাত রকমের চা পাওয়া যায়। সিজনাল ফল দিয়ে তৈরি চায়ের কদরও রয়েছে চা-বিলাসীদের কাছে।
তবে সব চায়ের সেরা চা হলো আদা চা। শুধু মুখের স্বাদ আর মনের প্রফুল্লতাই আনে না, বিদায় করে অনেক জটিল ও কঠিন রোগ। আসুন তাহলে জেনে নিই আদা চায়ের দুর্দান্ত কিছু উপকারিতার কথা।
১. ভ্রমণে বমি হওয়া কিংবা বমি ভাব নিয়ে বসে থাকার মত বিরক্তিকর অনুভূতি থেকে মুক্তি দেয় আদা চা। তাই নির্বিঘ্ন ভ্রমণের জন্য গাড়িতে উঠার আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিন। আর তফাৎটা নিজেই পরখ করুন।
২. কফ, খুসখুসে কাশি, মাথা ব্যথা, মাথা ধরা, ঠান্ডার মত অসুখের প্রাকৃতিক নিরাময়ক আদা চা।
৩. যিনি হজমের সমস্যায় ভোগেন, শুধু তিনিই বোঝেন ব্যাপারটা কতটা যন্ত্রণার। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা চা পানের পরপরই হজমের সমস্যা ঠিক হতে শুরু করে। আর অল্প সময় পর পুরোপুরি হজমের সমস্যা সেরে যায়। তাছাড়া খাবারে রুচি বাড়াতেও আদা চায়ের জুড়ি নেই।
৪. আদায় থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনাসহ সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই লড়াই করে।
৫. এছাড়াও আদায় রয়েছে এমনসব ভিটামিন, খনিজ যা দেহে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং রক্তে চর্বি জমতে বাঁধা দেয়। ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক রোধেও ঝুড়ি নেই আদার।
খুলনা গেজেট/এনএম