খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

এইদিনে ক্রিকেট বিশ্বে চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। খেলতে নেমেই বড় ধরনের চমক দেখান টাইগাররা। ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা দেন তারা।

সেই পরাজয়ের স্মৃতি এখনও ভোলেননি ওয়াসিম আকরামরা।

বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ারও করেন ওয়াসিম।

গত বছর এক লাইভে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমি বলব– সেদিন আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। কারণ বাংলাদেশ ভালো বল করেছিল। ওই হার পাকিস্তানিদের জন্য হতাশার হলেও বাংলাদেশের অনন্য অর্জন ছিল। এ জন্য আমি তাদের প্রশংসাও করেছিলাম।

সেই ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ২৭ রানের পর বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি।

প্রথম ওভারেই শহীদ আফ্রিদিকে আউট করে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামানোর বার্তা দেন সুজন। পরে আরও ২ উইকেট নেন।

দিনটি এলেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন সুজন, আকরাম, পাইলট ও নান্নুরা।

আজ এক গণমাধ্যমকে সেই জয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ’সেদিন আমরা এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে, ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে তো মনে হয়েছে, সবাই পাগল হয়ে গেছি!’

বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, খুশিতে পাগল হওয়ারই তো কথা। পাকিস্তানকে হারাব, এটা তো কেউ চিন্তাও করেনি! ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, সাকলাইন মুস্তাকের মতো বড় বড় তারকার বিপক্ষে খেলে হারিয়েছি তাদের। ওই সময় বোলিং আক্রমণের দিক থেকে পাকিস্তান ছিল অপ্রতিরোধ্য। তা ছাড়া কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ওই প্রথম হারাই আমরা। আমাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পেছনেও সেই জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সব মিলিয়ে ৩১ মের সেই দিনটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক পাওয়া।

তিনি যোগ করেন, ওই জয়ের পর একটা ঘোরে কেটেছে আমাদের দিন। মাঠ থেকে বেশি মজা হয়েছে হোটেলে ফেরার পর। হোটেলে সেদিন ইংল্যান্ডে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি এসেছিল। অনেকে অনেক রকমের খাবার নিয়ে এসেছিল আমাদের জন্য। অনেক রাত পর্যন্ত সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছিলাম। বিজয়টি সেলিব্রেট করতে অনেক মজা করেছি সে রাতে।

১৯৯৯ সালের ৩১ মে নর্দাম্পটনে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়াসিম বাহিনী। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে আমিনুল ইসলাম বুলবুল অ্যান্ড কোং। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রান করেন তারা।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন আকরাম খান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মিস্টার এক্সট্রার কাছ থেকে। এ ছাড়া ৩৯ রান করেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।

জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের টপঅর্ডার। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে পৌঁছতেই পারেননি। দলীয় ৪২ রানে ৫ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যান মেন ইন গ্রিনরা।

ফলে অবিস্মরণীয় এক জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। বল হাতে দেশের হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। টার্নিং পয়েন্টে উইকেটগুলো নেয়ায় ম্যাচসেরা হন তিনি।

খুলনা গেজেট/কেএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!