হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও দাপট দেখিয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ‘এ’ দল। প্রথম দিনে ব্যাটিংয়ে আকবর আলীদের রাজত্বের পর দ্বিতীয় দিন বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ‘এ’ দলের পেসার সুমন খান ও স্পিনার হাসান মুরাদ। তাঁদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
আজ দিনের শুরুটা দারুণভাবে করেন ‘বি’ দলের অধিনায়ক নাইম শেখ ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। এই দুই ব্যাটসম্যান ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। তবে ইমনকে ৩৫ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান রকিবুল। একই সঙ্গে দুর্দান্ত এই জুটির পরিসমাপ্তি হয়।
পারভেজের বিদায়ের পর ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি নাইমও। ৮৩ রান করে মুরাদের শিকার হন তিনি। থিতু হতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। ফিরে গেছেন মাত্র ৬ রান করে। তাদের বিদায়ের পর ১০১ রানের জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয় ও মৃত্যুঞ্জয়।
হৃদয় ৪২ আর মৃত্যুঞ্জয় ৫৮ রান করে ফিরে গেলে সুমন ও মুরাদের বোলিংয়ে মাত্র ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায় বি দল। সুমন এবং মুরাদ উভয়ই ৪টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে প্রথমদিন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দিপুকে। ১৬২ বলে ৯৪ রান করে সাগরের বলে অঙ্কনের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান। ফলে আকবর-দিপুর ১৩৭ রানের অনবদ্য জুটিটি ভাঙে।
দিপু ফিরলেও উইকেট কামড়ে ধরে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। শামীমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ১২০ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬১ বলে ১৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর। আর ৬৭ রান করেন শামীম।
ব্যাটসম্যানদের দাপটে প্রথম দিনে ৮০ ওভারে ৭ উইকেটে ৪০৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় আফিফদের দল। ‘বি’ দলের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা ও শাহিন আলম। আর আরেকটি উইকেটটি শিকার করেন নোমান চৌধুরী সাগর।
খুলনা গেজেট/এএমআর